শেষ আপডেট: 15th August 2024 16:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পেরিয়ে গেল এক সপ্তাহ। গত শুক্রবার সকাল থেকে খোঁজ মিলছিল না তাঁর। বেলা গড়াতে প্রতিদিনের কর্মস্থল আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের চারতলার সেমিনার রুম থেকে মিলেছিল অর্ধনগ্ন ধ্বস্ত নিথর দেহ। ডাক্তারির পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ছাত্রীর এমন মর্মান্তিক পরিণতিতে শোকে স্থবির হয়েছেন রাজ্যের মানুষ। তারপরেই বিস্ফোরণ হয়েছে জমে থাকা ক্ষোভের। উত্তাল হয়েছে রাজ্য। দেশও। ঘটনার সাতদিন পরে বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবসের দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার নিন্দা করলেন তৃণমূলের মহিলা সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুললেন, "দেশ স্বাধীন হয়েছে ঠিকই, কিন্তু আমরা মহিলারা কি স্বাধীন হয়েছি! প্রশ্ন তুললেন, "আমরা মেয়েরা কবে স্বাধীনভাবে ঘুরতে পারব"?
সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই পোস্টে কথা বলতে বলতেই দু চোখ জলে ভরে যায় রচনার। গাল থেকে চিবুকে গড়ায় জল। রচনা বলেন, কলকাতার আরজি করের এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। যা ঘটেছে,তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। দিনের শেষে আমি তো কাজ করে গাড়ি করে ফিরি। সবাই তো গাড়ি পায় না। কেউ হেঁটে ফেরেন, কেউ বাসে, কেউ অটোতে বাড়ি ফেরেন। চিন্তা নিয়ে ফেরেন। ঠিকমতো বাড়ি পৌঁছোতে পারব তো! এটা কেন হবে?"
এরপরেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন অভিনেত্রী সাংসদ। বলেন,"একজন পুরুষমানুষতো আমাকে সম্মান করবে। বিপদে পড়লে পাশে দাঁড়াবে। কেন সে আমাকে ছিঁড়েখুঁড়ে খাবে বলতে পারেন? আমার মনে হয় আমাদের বিচার ব্যবস্থা এমন হতে হবে, যে কোনও মেয়ের দিকে কোনও পুরুষ কুনজর দিতে পারবে না। এমন শাস্তি দিতে হবে যে কোনও মেয়ের দিকে কেউ কুনজর দেওয়ার আগে দু-বার ভাববে। আমি সেদিনের দিকেই তাকিয়ে থাকব।"
গোটা দেশ উত্তাল হয়ে উঠছে আন্দোলনে। পথে নেমেছেন মহিলারা। আরজি করের এতবড় ঘটনার পরেও তৃণমূলের মহিলা সাংসদরা কেন চুপ, সে প্রশ্ন উঠছিলই। স্বাধীনতা দিবসের দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এ ব্যাপারে নিজের বক্তব্য জানালেন রচনা।