শেষ আপডেট: 17th July 2024 11:42
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে শাসক দল আওয়ামী লিগের ছাত্র সংগঠন ছাত্র লিগ সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে ছয়জন মারা গিয়েছেন। মৃতদের মধ্যে ছাত্র লিগ সমর্থককেরাও আছেন। পুলিশের গুলিতে কেউ মারা যায়নি বলে প্রশাসন দাবি করেছে।
ছয় ছাত্রের প্রাণহানীর ঘটনার জেরে মঙ্গলবার রাতভর তাণ্ডব চলে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ছাত্রাবাসে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংঘর্ষ চলতে থাকে। মাঝরাতে এক পক্ষ আর এক পক্ষকে হস্টেল থেকে বের করে দেয়। এই পরিস্থিতিতে সরকার স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করেছে। কোটা বিরোধী আন্দোলন এবং হিংসায় লাগাম দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
মঙ্গলবার দিনভর অশান্তির পর মাঝরাতে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীরা কফিন মিছিল করার ঘোষণা করেন। মৃত ছয়জন রংপুর, চট্টগ্রাম এবং ঢাকার বাসিন্দা। ছয়টি ফাঁতা কফিন নিয়ে প্রতীকি শোক মিছিল করার কথা আন্দোলনকারীদের।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশের পাশাপাশি বন্ধ হস্টেলও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তবে আতঙ্কে বহু ছাত্রছাত্রী ক্যাম্পাস ছেড়ে গিয়েছেন। ঢাকার পুলিশ প্রধান বলেছেন, কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের মধ্যে উদ্দেশপ্রণোদিতভাব কিছু মানুষ ঢুকে পরে পরিস্থিতিকে অশান্ত করে তুলছে। তাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে। দ্রুত অভিযান শুরু করা হবে।