শেষ আপডেট: 9th September 2024 14:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মণিপুরের পরিস্থিতি ক্রমে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ছাত্র-জনতা মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের পদত্যাগের দাবিতে ইম্ফলে তাঁর বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে। রাজধানীর কয়েক জায়গায় অভিযান শুরু হয়েছে। ঘেরাওয়ের ডাক দেওয়া হয়েছে রাজভবনও। পরিস্থিতি সামাল দিতে গত কয়েকদিনে একাধিকবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে পরামর্শ করছেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন।
গত কয়েকদিন ধরে মণিপুর ফের উত্তপ্ত। গত বছর ৩ মে জাতি জাঙ্গা শুরুর পর এখনও পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষে দু’শোর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। কিন্তু গত এক সপ্তাপের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। মুখোমুখি সংঘষের পরিবর্তে কুকি ও মৈতেইদের জঙ্গি সংগঠনগুলি আকাশ পথে হামলা শুরু করেছে। প্রথমে ড্রোন থেকে বোমা ফেলা হয়। গত শনিবার দু-পক্ষই রকেট ছোঁড়ে। তাতে দু-পক্ষের আটজন মারা গিয়েছেন। কীভাবে জঙ্গিরা রকেট পেল তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিকে, জঙ্গিরা যখন নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করে ময়দানে সক্রিয় হয়েছে তখন মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে বীরেনের পদত্যাগের দাবিও জোরালো হয়েছে। এতদিন মৈতেইরা তাঁকে সমর্থন করে এলেও সম্প্রতি ওই জনগোষ্ঠীও মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করেছে। মৈতেই ও নাগা বিধায়কদের একটি দল দিল্লিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে বীরেনের পদত্যাগ দাবি করেছেন। কুকিরা প্রথম থেকেই এই দাবিতে সরব। পদত্যাগের দাবি তুলেছে ছাত্ররাও। ওয়াকিবহাল মহলের খবর, তাদের মধ্যে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মেজাজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, এই দাবি ওঠার পর বীরেন বেশ কয়েকবার রাজভবনে অনুগত বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছেন। বিধায়কদের তাঁর প্রতি সমর্থন আছে বোঝাতেই এই কৌশল নিয়েছেন তিনি, মনে করা হচ্ছে।
তবে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশও এখন বীরেনের অপসারণ চাইছেন। তাঁদের বক্তব্য, আগে বীরেনের স্বজাতি মৈতেইদের আপত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা যাচ্ছিল না। এখন পরিস্থিতি বদলেছে। অশাম্তির বিষয়ে বীরেনের প্রশাসনের দিকে আঙুল উঠছে।
একাধিক মহলের খবর, বীরেনকে সরিয়ে মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে যৌথ কমান্ডের হাতে রাজ্যের ভার তুলে দেওয়া হবে। অর্থাৎ গোটা রাজ্যেই আইন-শৃঙ্খলা পুলিশ-আধা সেনা ও সেনার হাতে তুলে দেওয়া হবে।