শেষ আপডেট: 28th November 2023 17:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো, নদিয়া: উদ্বাস্তু-ত্রাণ ও পুনর্বাসন দফতরের জমি। বেসরকারি স্কুল তৈরির জন্য সেই জমি লিজ দিয়ে বিতর্কে জড়াল গয়েশপুর পুরসভা। বিষয়টি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ল পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডেই ১ দশমিক ৬ একর জমি একটি বেসরকারি স্কুলকে লিজ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গয়েশপুর পুরসভার বিরুদ্ধে। রীতিমতো টেন্ডার ডেকে সরকারি জমি বেসরকারি স্কুলকে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
গয়েশপুর পুরসভার অধিকাংশ জমি উদ্বাস্তু ত্রাণ ও পুনর্বাসন দফতরের। ১৯৮২ সালে উদ্বাস্তু ত্রাণ ও পূনর্বাসন দফতর গয়েশপুর নোটিফায়েড এরিয়া অথরিটিকে ৬৪৪.৭১ একর জমি হস্তান্তর করে। এই জমি জনগণের সুবিধায় স্কুল, উদ্যান, পানীয় জল প্রকল্প, স্বাস্থ্যকেন্দ্র-সহ নানা কিছু তৈরিতে ব্যবহার করা যাবে বলে উল্লেখ করা হয়। এই জমি থেকে ১ দশমিক ৬ একর জমি বেসরকারি স্কুল তৈরির জন্য দেওয়ায় তাই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। গয়েশপুর পুরসভার দীর্ঘদিনের কাউন্সিলার ও বাম বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “সরকারি জমি এইভাবে প্রাইভেট সেক্টরকে লিজ দেওয়া যায় না। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। সরকারি জমি কাউকে লিজ দেওয়া, বিক্রি করা বা যৌথ উদ্যোগে কিছু করা যাবে না।”
এমনকী পুরসভার এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন ক্ষমতাসীনদেরই একাংশ। রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি, তৃণমূল কাউন্সিলার কৌশিক ঘোষ বলেন, “আমার এবং অনেক কাউন্সিলরের জানা নেই কী পদ্ধতিতে এই জমি দেওয়া হল। আমি দলের বোর্ডের বিরুদ্ধে নয়, তবে আমার দলের কেউ যদি মনে করে নিজের স্বার্থে কিছু করছে তাহলে সেটা দল দেখবে। এর আগেও আমি গয়েশপুরের জমি বেদখল নিয়ে লড়াই করেছি। আগামী দিনেও লড়াই চালিয়ে যাব। চেয়ারম্যান যদি নিয়ম না মেনে কোনও কিছু নিজের তাগিদে করে থাকে তাহলে সেটা বেআইনি। এভাবে জমি হস্তান্তর করা যায় তা আমার জানা নেই।”
গয়েশপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সুকান্ত চ্যাটার্জি দলের কাউন্সিলরের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “বাম জামানায় বহু জমি দখল হয়ে গেছে। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি যে কোনও প্রকারে উন্নয়ন করব। এই জমি নিয়ে আইনি জটিলতা থাকার কোনও অর্থ হয় না। বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েই যা করার করা হয়েছে।” কল্যাণী মহকুমা প্রশাসন সূত্রে খবর, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।