দ্য ওয়াল ব্যুরো, ঝাড়গ্রাম: গতকাল, মঙ্গলবার তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছিল ঝাড়গ্রামে। আহত হয়েছিলেন পুলিশও। সেই সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচ জন বিজেপি কর্মীকে গতকাল গ্রেফতার করেছিল বেলিয়াবেড়া থানার পুলিশ । বুধবার বিজেপি কর্মীদের ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হলে পাঁচ জনকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক ।
ঝাড়গ্রামের বেলিয়াবেড়া ব্লকের পেটবিন্ধি গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিঞ্জা গ্রামে একশো দিনের কাজ করে ফেরার পথে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে । সংঘর্ষ আহত হয়েছিলেন তিন জন তৃণমূল কর্মী, দুজন বিজেপি কর্মী সহ বেলিয়াবেড়া থানার সিআই গৌতম চক্রবর্তী। আশীষ ঘোষ নামে এক তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় গতকালই ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল থেকে স্থানান্তর করা হয়েছিল কলকাতায় ।
এদিন জানা যায়, তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে আহত বেলিয়াবেড়ার সিআই গৌতম চক্রবর্তী-সহ তৃণমূল ও বিজেপির আক্রান্ত কর্মীরা ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের মেল সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। ওয়ার্ডে মোতায়েন রয়েছে সশস্ত্র পুলিশ ।
সোনাকনিয়া গ্রামের অশোক দন্ডপাত, কালিঞ্জা গ্রামের বিকাশ দলুই , তেঘরা গ্রামের নন্দ খিলারী, হাটসাই বালক হাটুই এবং তেঘরা গ্রামের শ্রীমন্ত খিলারী-- মোট পাঁচ জন বিজেপি কর্মীকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বেলিয়াবেড়া ব্লকের তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি কালীপদ সুর বলেন, “প্রতিদিন মানুষ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। ফলে পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে বিজেপির। সেই কারণেই পরিকল্পিত ভাবে আমাদের কর্মীদের উপরে আক্রমণ চালিয়েছে।” প্রসঙ্গত গত লোকসভায় ঝাড়গ্রাম আসনে ব্যাপক ভোটে হেরেছিল তৃণমূল। বীরবাহা সোরেনকে হারিয়ে সংসদে গিয়েছেন কুনার হেমব্রম।
পাল্টা বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি সুকুমার সৎপতি বলেন, “দিনের পর দিন কোণঠাসা হচ্ছে তৃণমূল। তাই তৃণমূল প্রায়ই ওই এলাকায় আমাদের কর্মীদের উপরে আক্রমণ করছে। গতকালও তাই হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।