শেষ আপডেট: 29th September 2019 07:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ডিএ মামলার রায়ে স্টেট অ্যাডমিনিস্টেটিভ ট্রাইব্যুনাল তথা স্যাটের রায় ছিল, বকেয়া মহার্ঘভাতা দিয়েই পে কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করতে হবে। কিন্তু গত শুক্রবার রোপা আইন ২০১৯ জারি করে নবান্ন স্পষ্ট বলে দিয়েছে, বকেয়া দেবে না রাজ্য সরকার। শুধুমাত্র পে কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করবে। এ নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একটি অংশে অসন্তোষ ছিলই। এ বার সেটাকেই আরও একটু উস্কে দিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। রবিবার টুইট করে সূর্যবাবু লিখেছেন, ১৯৮১ সালের পর এই প্রথম পে কমিশনের সুপারিশে সর্বভারতীয় হারের নীচে নেমে গেল রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সর্বনিম্ন বেতন। তাঁর কথায়, “রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সর্বনিম্ন বেতন হল ১৭ হাজার টাকা। কেন্দ্রীয় সরকার গ্রুপ ডি তুলে দিয়ে সর্বনিম্ন বেতন করেছে ১৮ হাজার টাকা। রাজ্য সরকার ১৮ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরির দাবি মানেনি।” https://twitter.com/mishra_surjya/status/1178187592547717121 শাসক দলের উদ্দেশে খোঁচা দিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্য ও পঞ্চায়েতমন্ত্রী লিখেছেন, “তৃণমূলের রেকর্ড শুধু মন্ত্রীদের পাওনা বাড়ার বেলায়।” এমনিতে বাম নেতারা বিধায়কদের ভাতা বাড়ানোরও বিরোধিতা করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীদের মাইনে বাড়ার সময় তো বিধানসভায় বাম-কংগ্রেস পরিষদীয় দল ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। রাজনৈতিক মহলের মতে, সূর্যবাবু আসলে এই টুইট করে সরকারি কর্মচারীদের ক্ষোভকে আরও একটু খুঁচিয়ে দিতে চেয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারে আসার পরও রাজ্যসরকারি কর্মচারীদের সমর্থন থাকত বামেদের দিকেই। পোস্টাল ব্যালটের ফলাফল তা স্পষ্ট করে দিত। কিন্তু উনিশের লোকসভায় রাজ্যের ৪০টি কেন্দ্রের পোস্টাল ব্যালটের ফলাফলে দেখা গিয়েছে বামেরা শুধুমাত্র একটি কেন্দ্রে জিতেছে। বাকি ৩৯টি কেন্দ্রে রাজ্য সরকারি কর্মীরা ঢেলে ভোট দিয়েছেন বিজেপি-কে। অনেকের মতে, সূর্যবাবু সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আসলে দূরে সরে যাওয়া সরকারি কর্মীদের কাছে আনার চেষ্টা করেছেন। কাঁটা চামচ, ছুরি ইত্যাদি নিয়ে একটি হলিউডি ছবির ক্লিপিং পোস্ট করে সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য বোঝাতে চেয়েছেন, এমন হিসেব করা হয়েছে, যা কারও মাথাতেই ঢুকছে না। যদিও তৃণমূল নেতারা বলছেন, সূর্যবাবুদের সরকারই দেনার বোঝা চাপিয়ে দিয়ে গিয়েছে। সেটা মাথায় নিয়েই এই সরকারকে কাজ করতে হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই এই অসম্ভবকে সম্ভব করছেন। অন্য কেউ থাকলে পালিয়ে যেতেন। তাই ওঁদের মুখে এ সব কথা মানায় না।