শেষ আপডেট: 31st July 2024 11:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: অবশেষে ৫ ঘণ্টা পরে উঠল অবরোধ। ১০টা ৩৮ এর ডায়মন্ডহারবার লোকাল ছাড়ল শিয়ালদহ স্টেশন থেকে। তবে টানা ৫ ঘণ্টা অবরোধের জেরে পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এই শাখার ট্রেন চলাচল। চূড়ান্ত ভোগান্তির মুখে পড়তে হয় যাত্রীদের।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, নির্ধারিত সময়ের থেকে অনেক দেরিতে চলছে ট্রেন। কোনও একদিন নয়। প্রতিদিনই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে ডায়মন্ডহারবার স্টেশনে বিক্ষোভ শুরু করেন নিত্যযাত্রীরা। অবরোধের জেরে বন্ধ হয়ে যায় ডায়মন্ডহারবার-শিয়ালদহ শাখার ট্রেন চলাচল।
বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে ডায়মন্ডহারবার স্টেশনে অবরোধ শুরু করেন যাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ,ট্রেনের সূচি দেখে স্টেশনে আসেন তাঁরা। কিন্তু এসে আর ট্রেন মেলে না। কখনও দেখেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে ট্রেন। কখনও আবার বদলে দেওয়া হয়েছে সময়সূচি। দিনের পর দিন এই ঘটনা ঘটছে বলে তাঁদের অভিযোগ। বুধবার সকালে স্টেশনে এসে ট্রেন না পেয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। শুরু হয় অবরোধ।
বিক্ষোভকারী যাত্রীরা দাবি করতে থাকেন,রেল আধিকারিকেরা এসে সময় মতো ট্রেন চালানোর আশ্বাস না দেওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে। এই অবরোধের জেরে ভোর থেকেই শিয়ালদহ-ডায়মন্ডহারবার শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। যাত্রীদের অভিযোগ, সময়ে ট্রেন না চলায় তাঁদের যে ভোগান্তি হচ্ছে সেই কথাটা বারবার রেল কর্তৃপক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন তাঁরা। কিন্তু কাজ হয়নি কোনও। বাধ্য হয়েই এদিন অবরোধে সামিল হতে হয় তাঁদের। ডায়মন্ডহারবার ছাড়াও নেত্রা এবং মগরাহাট স্টেশনেও অবরোধ করেন যাত্রীরা। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনায় বসেন রেলের আধিকারিকরা। শেষপর্যন্ত সাড়ে দশটা নাগাদ অবরোধ ওঠে।
রেলের বক্তব্য, সময় মতো রেলগেট বন্ধ করা যায় না বলেই অনেকসময় রেলগেটের আগেই ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। এখানেই দেরির সূত্রপাত। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘‘রেল কখনই চায় না দেরিতে ট্রেন চলুক। ট্র্যাক পরিষ্কার থাকলে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা যায়। অনেকসময়েই রেলগেটগুলি ঠিক সময়ে বন্ধ করা যাচ্ছে না। তাই ট্রেনও আটকে পড়ছে।’’