শেষ আপডেট: 27th June 2024 18:04
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তারাতলায় বিজেপির কার্যালয়ে চলল বুলডোজার! ভেঙে দেওয়া হয়েছে পার্টি অফিস। এই ঘটনা নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি এলাকায়। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূলের পার্টি অফিস নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এদিকে তাঁদের দলের পার্টি অফিস ভাঙা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে বচসা হওয়ায় একাধিক বিজেপি কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হকার ইস্যু চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তারপর থেকেই গত তিনদিন ধরে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় চলছে বেআইনি উচ্ছেদ অভিযান। তারাতলার এই বিজেপি পার্টি অফিসও বেআইনি নির্মাণের মধ্যে পড়ে বলে দাবি করেছে পুলিশ। সেই প্রেক্ষিতেই তা ভাঙা হয়েছে। যদিও এলাকার বিজেপি কর্মীরা বলছেন, পার্টি অফিসটি দীর্ঘদিন ধরেই আছে। এটা কোনও অবৈধ নির্মাণ নয়। পুলিশ জুলুম করে এটি ভেঙেছে।
পুলিশের পাল্টা দাবি, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই এই অভিযান চালানো হয়েছে। বেআইনি হিসেবে চিহ্নিত নির্মাণগুলিই ভাঙা হয়েছে। অযথা যাতে কেউ উত্তেজনা না ছড়ান তার জন্য মাইকিংও করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিজেপি কর্মীরা পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তাই কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।
ফুটপাত জবরদখল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরই মঙ্গলবার থেকে কলকাতা-সহ কয়েকটি জেলায় হকার উচ্ছেদে নেমে পড়ে পুলিশ। তবে কিছু জায়গা বাদে সব জায়গায় উচ্ছেদ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি সহ বিরোধী শিবির। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, এন্টালি, ডায়মন্ড হারবার, খিদিরপুর, রাজাবাজার, মেটিয়াবুরুজ, পার্কসার্কাসে রোহিঙ্গাদের ফুটপাত দখল করে বসিয়েছে তৃণমূলই। কিন্তু এই সব জায়গা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ হচ্ছে না।
এদিকে পুলিশ উচ্ছেদের নামে কার্যত অত্যাচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও দায়ের হয়েছে। আইনজীবী শামিম আহমেদের বক্তব্য, হকার উচ্ছেদের নামে যা নয় তাই করা হচ্ছে। কে বৈধ আর কে অবৈধ তা খতিয়ে না দেখেই পুলিশ তৎপরতা দেখাচ্ছে। এতে নাগরিক অধিকার খর্ব হচ্ছে। বিচারপতি অমৃতা সিনহা তাঁকে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।