শেষ আপডেট: 27th June 2024 20:22
দ্য় ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: শেষ পর্যন্ত পিছু হটলেন বর্ধমানের তৃণমূল নেত্রী মিতা দাস। বড়শুলে বিডিও অফিসে বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত হল জবরদখল করা আবাস যোজনার বাড়ি ছেড়ে দেওয়া হবে। এক সম্বলহীন বৃদ্ধার ঘর দখল করে পার্টি অফিস করে রাখার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল নেত্রী মিতা দাসের বিরুদ্ধে। ঘর দখলমুক্ত করার জন্য প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে সুরাহা মেলেনি বৃদ্ধার। সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
বৈকুণ্ঠপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের হ্যাচারি রোডের বাসিন্দা পুষ্প চক্রবর্তীর বাড়ি ভাড়া নিয়ে ২০১৯ সালে তৈরি হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা মিতা দাসের উদ্যোগেই ভাড়া নেওয়া হয়েছিল ঘরটি। এরজন্য পরপর দু'বছর নিয়মিত ভাড়াও পেয়েছেন পুষ্পদেবী। তাঁর অভিযোগ, তারপর থেকে বন্ধ হয় ভাড়া। একরকম জবরদখল করেই করেই রাখা হয় ঘরটি।
বর্তমানে পুষ্পদেবীর শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। বাড়িতে একাই থাকেন তিনি। তাঁর বোন মমতাদেবী মাঝেমধ্যে এসে তাঁর দেখাশোনা করেন। ভাড়া না পাওয়ায় চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছেন পুষ্পদেবী। বিষয়টি মিতা দাসকে একাধিকবার জানিয়েছেন বলে জানান পুষ্পদেবীর বোন মমতাদেবী। তিনি অভিযোগ করেন, বারবার মিতা দাসের কাছে দরবার করা হয়েছে বাড়ি ভাড়ার জন্য, কিন্তু টাকা চাইলেই মিলেছে হুমকি। অসহায় হয়ে পুষ্পদেবী গোটা বিষয়টি জানিয়েছিলেন বর্ধমান ২ নম্বর ব্লকের বিডিওকে।
অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসেন বিডিও দিব্যজ্যোতি দাস। তিনি পঞ্চায়েতকে দায়িত্ব দেন গোটা বিষয়টি তদন্ত করার জন্য। পঞ্চায়েত তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর বুধবার বিডিও দফতরে বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিডিও ছাড়াও প্রধান মনুশ্রী মণ্ডল, পঞ্চায়েত সদস্যা মিতা দাস, বাড়ির মালিক পুষ্প চক্রবর্তী এবং তাঁর বোন মমতাদেবী।
বৈঠক শেষে বিডিও দিব্যজ্যোতি দাস বলেন, "পঞ্চায়েতের প্রাথমিক তদন্তের পর ফার্স্ট হিয়ারিং হয়েছে। দ্বিতীয় হিয়ারিং-এর পর সব সমস্যা মিটে যাবে।" অর্থাৎ দখল করে রাখা ঘরটি ছেড়ে দেওয়া হবে। পুষ্প চক্রবর্তী ও তাঁর বোন মমতাদেবী বলেন, "১৫ দিনের মধ্যে দখল করে রাখা ঘর ছেড়ে দেওয়া হবে বলে বিডিও অফিসের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। মিতা দাস ঘর ছেড়ে দেবেন বলে বৈঠকে জানিয়েছেন।" যদিও মিতা দাস এই নিয়ে কিছু বলতে রাজি হননি।