Advertisement
সাদা বাঘের প্রতীকী ছবি
Advertisement
শেষ আপডেট: 19 April 2024 18:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মাঘের শীত বাঘের গায়ে, এই প্রবাদ থাকলেও বৈশাখের রুদ্রতেজে গরমের জ্বালাপোড়া সহ্য না করতে পেরে শুক্রবার মৃত্যু হল সাদা বাঘিনীর। ওড়িশার পুরীতে বেড়াতে যাননি, এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আর পুরী গিয়ে নন্দনকানন দেখতে যাননি এমন পরিবারও মেলা ভার। সেই নন্দনকাননের সাদা বাঘিনী স্নেহা মারা গেল তীব্র গরমের কষ্টে।
১৪ বছরের স্নেহা বয়সজনিত অসুখে ভুগছিল। কিন্তু, এদিন পুরী সংলগ্ন নন্দনকাননের তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৪২ ডিগ্রির কাছাকাছি। বৃহস্পতিবার থেকেই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে ধুঁকছিল। তার চিকিৎসা চলছিল। স্যালাইন ও অন্যান্য ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও গরমে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে স্নেহা। শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয়।
রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার নিশান এবং সাদা বাঘিনী কুসুম স্নেহার বাবা-মা। ২০১০ সালের ১ মার্চ জন্ম হয় তার। ২০১৬ সালের ৫ আগস্ট স্নেহার তিনটি বাচ্চা হয়। তাদের নাম মৌসুমি, চিনু (পুরুষ) এবং বিরলতম কালো পুরুষ বাঘ ভিকি। পরের বার লব-কুশ নামে দুটি বাচ্চার জন্ম দেয় স্নেহা।
২০২১ সালের ২৮ মার্চ স্নেহা আরও তিনটি বাচ্চার জন্ম দেয়। তাদের নাম রাকেশ, রকি এবং বাঁশি। তিনটিই সাধারণ পুরুষ বাঘ। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের অক্টোবরে ফুসফুসে ক্যানসার হওয়ায় মৃত্যু হয় সাদা বাঘিনী বিজয়ার। তারও আগে পাঁচ বছর বয়সি শুভ্রাংশু মারা যায় লিভারজনিত অসুখে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নন্দনকাননে বর্তমানে ২৭টি বাঘ রয়েছে। তার মধ্যে ৭টি সাদা এবং তিনটি কালো বাঘ।
Advertisement
Advertisement