Advertisement
Advertisement
শেষ আপডেট: 21 February 2024 15:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আদালতের দরজায় ২৬ বছর ধরে মাথা কুটে অবশেষে ন্যায়বিচার পেলেন প্রাক্তন এক সেনা নার্স। তাঁর অপরাধ ছিল তিনি বিয়ে করেছিলেন। সেই দোষে তাঁকে সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত করা হয়। তারপর থেকে আত্মসম্মান রক্ষার লড়াইয়ে নামেন সেলিনা জন। শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টে বিচার পেলেন তিনি। শীর্ষ আদালত কেন্দ্রকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৮ সপ্তাহের মধ্যে সেলিনাকে ৬০ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
বিয়ে করার জন্য কাউকে বরখাস্ত করাকে পিতৃতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি বলে ব্যাখ্যা সর্বোচ্চ আদালত। সেনা নার্সকে চাকরি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল এবং বেআইনি। এমনকী এটা লিঙ্গ বৈষম্যের একটি দৃষ্টান্ত বলে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তর বেঞ্চ রায়ে জানিয়েছে।
বিয়ে করার জন্য কোনও মহিলা কর্মীর চাকরি চলে যাওয়া সংবিধান স্বীকৃত নয়। সেলিনার চাকরি চলে যাওয়ার ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৬০ লক্ষ টাকা তাঁকে ২ মাসের মধ্যে তুলে দিতে বলেছে আদালত। উল্লেখ্য, মামলাকারিণী সেলিনা ১৯৮২ সালে মিলিটারি নার্সিং সার্ভিস পরীক্ষায় নির্বাচিত হন এবং দিল্লির সেনা হাসপাতালে ট্রেনি হিসেবে কাজে যোগ দেন।
১৯৮৫ সালে তিনি নার্সিং সেকশনের লেফটেন্যান্ট পদে উন্নীত হন। তখন তাঁর বদলি হয় সেকেন্দ্রাবাদে। তিন বছর পর তিনি এক সেনা অফিসারকে বিয়ে করেন। ১৯৮৮ সালের ২৭ অগাস্ট কোনও শোকজ নোটিস ছাড়াই তাঁকে বরখাস্ত করে বাহিনী। তখন তিনি এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে আদালত তাঁকে সেনাবাহিনীর ট্রাইব্যুনালে যেতে বলে। লখনউয়ের ট্রাইব্যুনাল তাঁর চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রকে। যাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় কেন্দ্রীয় সরকার। আদালত এও বলেছে, বিয়ে করার জন্য সেনা নার্সিং সার্ভিস থেকে বরখাস্ত করার বিধিই তো ১৯৯৫ সালে বাতিল হয়ে গিয়েছে।
Advertisement
Advertisement