দেশের বাণিজ্যিক রাজধানীতে জোর লড়াই শিবসেনার দুই গোষ্ঠী, যাদের পিছনে যুযুধান বিজেপি ও কংগ্রেস।
শেষ আপডেট: 19th May 2024 18:41
মুম্বই। দেশের বাণিজ্য-রাজধানী, এই মুহূর্তে জনসংখ্যার দিক দিয়ে ভারতের বৃহত্তম শহর! নিউ ইয়র্কের মত মুম্বইকেও বলা হয়, রাতে শহরের চোখে ঘুম নামে না। চার্লস ডিকেন্সের দুই শহরের উপকথার সেই অবিস্মরণীয় শুরুটা মনে করিয়ে দিতে পারে মুম্বই। একদিকে এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তির সাতাশ-তলা বাড়ি। অন্যদিকে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বস্তি, ধারাভি। একদিকে দেশের রুপোলি পর্দার লক্ষ লক্ষ সোনালি স্বপ্ন জমা হয় এখানে। তৈরি হয় চোখধাঁধানো, 'লার্জার দ্যান লাইফ' ফিল্ম। বিশ্বের অন্যতম বড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, বলিউড। অন্যদিকে অপরাধ জগতের আলো-আঁধারি জমাট বেঁধে থাকে শহরে। একদিকে ওয়াংখেড়ে, ব্রেবোর্নের মত ঐতিহ্যবাহী ক্রিকেট মাঠ। দেশের অলিখিত ক্রিকেট রাজধানী। শিবাজী পার্কের ময়দানে তৈরি হয় সচিন তেণ্ডুলকর, বিনোদ কাম্বলি, রোহিত শর্মাদের মত নক্ষত্র। অন্যদিকে আবার সিরিয়াল বিস্ফোরণ থেকে সন্ত্রাসবাদী হামলা, মুম্বই যুঝে চলেছে নিরন্তর।
দেশের বৃহত্তম শহর মুম্বই লোকসভা আসনের বিচারেও আয়তনে বিশাল। তার ওপর শিবসেনায় ভাঙনের পর মেরিন ড্রাইভ থেকে দাদার স্টেশন, চৌপাট্টি থেকে বোরিভেলি সর্বত্র তুঙ্গে আলোচনা। মুম্বইয়ের বেশিরভাগ আসনেই লড়াই শিবসেনার দুই পক্ষ। 'বিশ্বাসঘাতকতা' করে কি একনাথ শিন্ডে নিজের দাপট ধরে রাখতে পারবেন? নাকি বালাসাহেব ঠাকরের স্মৃতিতে পুত্র উদ্ধবের পাশেই রায় দেবে জনতা? একদিকে শিন্ডেপন্থীরা জোট বেঁধেছেন বিজেপির সঙ্গে। অন্যদিকে উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা নাম-প্রতীক সব হারিয়ে শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে) নাম নিয়ে লড়ছেন কংগ্রেস-ইন্ডিয়া জোটে। তার আগে চলুন, একবার দেখে নেওয়া যাক মুম্বই শহরের লোকসভা আসনের ছবিটা...।
মুম্বইঃ লোকসভা আসন
কলকাতা শহরে লোকসভা আসনের সংখ্যা মাত্র চারটি। তার মধ্যে আবার যাদবপুর চলে গিয়েছে একেবারে সেই ভাঙড়ের গ্রামীন এলাকা অবধি। সেখানে স্রেফ মুম্বই শহরেই রয়েছে মোট ছ'টি লোকসভা আসন। সেগুলি হলঃ
১) মুম্বই নর্থ
২) মুম্বই নর্থ-ইস্ট
৩) মুম্বই নর্থ-সেন্ট্রাল
৪) মুম্বই নর্থ-ওয়েস্ট
৫) মুম্বই সাউথ
৬) মুম্বই সাউথ সেন্ট্রাল
এর সঙ্গে আবার বৃহত্তর মুম্বই বা মুম্বই মেট্রোপলিটান এলাকা ধরলে আরও চারটি আসন যোগ হবে। সেগুলি হলঃ
১) থানে
২) কল্যাণ
৩) ভীওয়ান্দি
৪) পালঘর
মুম্বই নর্থ ও মুম্বই নর্থ-সেন্ট্রাল
এইবারের লোকসভা ভোটে অন্যতম হাইভোল্টেজ আসনের মধ্যে একটি হল মুম্বই নর্থ। বিজেপির হয়ে যেখানে দাঁড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল। পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, বিজেপির এবারের অন্যতম হেভিওয়েট প্রার্থী পীযুষ সেই ২০২০ থেকে শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন। নরেন্দ্র মোদীর আমলে দেশে শিল্পায়নে যে জোয়ার এসেছে বলে বিজেপি নেতারা কার্যত রাত-দিন প্রচার করছেন, তার অনেকটাই হয়েছে পীযুষের নেতৃত্বে। জিতলে সম্ভবত পরের মন্ত্রীসভাতেও জায়গা পেতে চলেছেন পীযুষ। পাল্টা কংগ্রেস দাঁড় করিয়েছে স্থানীয় নেতা, দলের মুম্বই শাখার এককালের সহ-সভাপতি ভূষণ পাটিলকে। যিনি দাবি করছেন, তিনি উত্তর মুম্বইয়ের প্রতিটি গলি অবধি চেনেন। পীযুষকে নিয়ে তাঁর সাফ কথা, 'মন্ত্রী হতে পারেন, কিন্তু জিজ্ঞেস করুন তো, কতবার এলাকায় এসেছেন? কোন ওয়ার্ডের সীমা কতটা সেটাই তো উনি জানেন না!'
মুখে ভূষণ যাই বলুন, উত্তর মুম্বইয়ের বোরিভেলি, কান্দিভেলি, মালাড়ের কিছু এলাকা নিয়ে গঠিত মুম্বই নর্থ আসনে এমনিতে কিন্তু বিজেপির সমর্থন বেশ ভাল। এককালে পাঁচবার এই আসনে জিতেছেন রাম নায়েক। তবে কংগ্রেসেরও সুযোগ আছে। ২০০৪ ও ২০০৯, ইউপিএ জমানার দুই দফাতেই এই আসনে কংগ্রেস যথাক্রমে অভিনেতা গোবিন্দ ও পরে পোড়খাওয়া রাজনীতিক সঞ্জয় নিরুপমকে জিতিয়ে এনেছে। এককালে এই আসনে জিততেন জওহরলাল নেহরুর অতি ঘনিষ্ঠ, ভারতীয় বিদেশনীতির অন্যতম প্রবাদপুরুষ ভি কে কৃষ্ণ মেনন। ১৯৬২ সালের নির্বাচনে কৃষ্ণ মেননকে হারাবেন বলে এই আসনে দাঁড়ান এককালে কংগ্রেসের প্রবাদপ্রতিম সভাপতি, বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী আচার্য জে বি কৃপালনি। তোলপাড় ফেলা সেই ভোটে শেষ অবধি জিতেছিলেন মেনন।
মুম্বই নর্থ-সেন্ট্রাল আবার সেদিক দিয়ে দেখলে মুম্বইয়ের সবচেয়ে কুলীন আসন বলে পরিচিত। বান্দ্রা, কুরলা, ভিলে পার্লের এক বিরাট অঞ্চল নিয়ে গঠিত মুম্বই নর্থ সেন্ট্রাল আসনের মধ্যেই পড়ছে মুম্বইয়ের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বান্দ্রা, স্যান্টাক্রুজ, তিলক নগরের মত একাধিক এলাকা। বান্দ্রা-কুরলা অঞ্চল থাকায় এই আসনের ভোটার তালিকায় আছেন শাহরুখ খান, সলমন খান, আমির খান, সঞ্জয় দত্তের মত বলিউড তারকারা। রয়েছেন সচিন তেণ্ডুলকর, উদ্ধব ঠাকরে নিজেও। প্রায় সতেরো লক্ষ লোকের এই আসনের আবার এক পঞ্চমাংশ মুসলিম। পাশাপাশি রয়েছেন ভারতের নানা প্রান্ত থেকে এসে মুম্বইয়ের বাসিন্দা হয়ে যাওয়া অনেকেই।
গত নির্বাচন অবধি এই আসনে জোর টক্কর হত বিজেপি নেতা প্রমোদ মহাজনের মেয়ে পুনম মহাজন ও অভিনেতা সঞ্জয় দত্তর বোন প্রিয়া দত্তর। ২০১৪, ২০১৯ দুই বারেই জিতেছেন পুনম। তার আগে ইউপিএ আমলে ২০০৯-এর লোকসভায় এই আসনে সাংসদ ছিলেন প্রিয়া। তার আগে ২০০৪ সালে বিশিষ্ট দলিত কংগ্রেস নেতা একনাথ গায়কোয়াড় জিতেছেন মুম্বই নর্থ সেন্ট্রালে। এবার কংগ্রেস এখানে একনাথ গায়কোয়াড়ের মেয়ে, তাদের মুম্বই শাখার প্রধান বর্ষা গায়কোয়াড়কে প্রার্থী করেছে। বর্ষা নিজে মন্ত্রী ছিলেন, দলিত আন্দোলনে পরিচিত মুখ। পাল্টা বিজেপি এখানে প্রার্থী করেছে মুম্বই সন্ত্রাস হামলায় আদালতে সরকারের হয়ে সওয়াল করা কৌঁসুলি উজ্জ্বল নিকমকে। ইতিমধ্যেই ২৬/১১ হামলার রেশ টেনে প্রচারে বিস্তর ঢাকঢোল পিটিয়েছে বিজেপি। পাকিস্তানকে টেনে কংগ্রেসকেও একাধিক আক্রমণে বিদ্ধ করেছেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আসনের ভোটারদের মধ্যে মুসলিমদের আধিক্য একটা বড় ফারাক গড়ে দিতে পারে। এত সহজে মেরুকরণ করে জেতা যাবে না।
মুম্বই নর্থ-ইস্ট ও মুম্বই নর্থ-ওয়েস্ট
মুম্বই নর্থ-ইস্টের মত খামখেয়ালি আসন নাকি আর নেই! ভোটাররা এখানে প্রায়ই বর্তমান সাংসদের ওপর মুখ ফিরিয়ে নেন। ক্ষমতায় আনেন আর একজনকে। ১৯৬৭ সাল থেকে নাকি এই আসনে পরপর জিতে আসার ঘটনা ঘটেছে মাত্র দু'বার! চাকচিক্যের বদলে এই আসন অনেকটাই মেলানো-মেশানো। একদিকে সঞ্জয় গান্ধী ন্যাশনাল পার্ক, অন্যদিকে মুম্বই শহরের দুটো ধাপার মাঠ দেওনাড় ও মুলুন্দ এই আসনের মধ্যে পড়ছে। যার মধ্যে দেওনাড় ভারতের বৃহত্তম আবর্জনা ফেলার জায়গার মধ্যে অন্যতম। প্রায় ধারণক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছে। প্রতিদিন সারা শহর থেকে আবর্জনা এনে ফেলা হয় এই দুই জায়গায়। ঠিকমত রক্ষণাবেক্ষণ হয় না বলে বাসিন্দাদের বিরক্তি আছে। ওদিকে পুবে ঘাটকোপার হয়ে শিবাজীনগর অবধি চলে গিয়েছে এলাকা।
এই আসনে এককালে বেশ কয়েকজন রথী-মহারথী জিতেছেন। ১৯৭৭ ও ১৯৮০, দুইবার এই আসনে জিতেছেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। পরে ১৯৯৬ সালে জিতেছিলেন প্রমোদ মহাজন। বিজেপি এবারে এই লোকসভার অন্তর্গত মুলুন্দের বিধায়ক মিহির কোটেচাকে প্রার্থী করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধী জোটের হয়ে দাঁড়িয়েছেন উদ্ধব-বালাসাহেব পন্থী শিবসেনার প্রার্থী সঞ্জয় পাটিল। ইনি আগে এনসিপিতে ছিলেন। ২০০৯ লোকসভায় এনসিপির টিকিটেই এই আসনে জিতে সাংসদ হয়েছেন। ২০১৯-এ শিবসেনায় যোগ দেন সঞ্জয়। হাওয়া ভাল নয় দেখে এবার মিহিরের জন্য রোড-শো করে গিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আরব সাগরের তীর থেকে আন্ধেরি অবধি ছড়ানো মুম্বই নর্থ-ওয়েস্ট আসনে রয়েছে বাণিজ্য ও ফিল্মনগরীর একাধিক চোখ ধাঁধানো 'লোকেশন'। রয়েছে গোরেগাঁও ফিল্ম সিটি, রয়েছে লোখন্ডওয়ালা, রয়েছে ভারসোভা, মনমাতানো জুহু সৈকত। এককালে কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত এই আসনে বিগত চার দশকে সাতবার জিতেছে কংগ্রেস। যার পাঁচবারেই সাংসদ ছিলেন অভিনেতা সুনীল দত্ত। ২০০৪ সালে তাঁর মৃত্যুর পরে উপনির্বাচনে জেতেন মেয়ে প্রিয়া। আবার সাতাত্তরের জনতা ঝড়ে এই আসনে জিতেছিলেন প্রবাদপ্রতিম আইনজীবী রাম জেঠমালানি। এবারে এই আসনে কার্যত যুদ্ধে নেমেছে শিবসেনার দুই পক্ষ। একদিকে একনাথ শিন্ডের শিবসেনা দাঁড় করিয়েছে রবীন্দ্র ওয়াড়িকরকে। পাল্টা উদ্ধবপন্থী শিবসেনার প্রার্থী অমল কীর্তিকর।
মুম্বই সাউথ-সেন্ট্রাল ও মুম্বই সাউথ
দক্ষিণ মুম্বইয়ের বিচিত্র নানা অংশ নিয়ে তৈরি মুম্বই সাউথ-সেন্ট্রাল আসনের নির্বাচনের ইতিহাস দেখলে যে কোনও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র চিন্তার খোরাক পাবে। স্বাধীনতা-উত্তর ভারতে এই আসন দেখলে মনে হতে পারে, এটা মুম্বই নাকি কলকাতা? কংগ্রেসের সঙ্গে এই আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী)-র। সিপিএমের হয়ে এই আসন থেকে দুইবার জিতে সাংসদ হয়েছিলেন প্রবাদপ্রতিম মার্ক্সবাদী নেতা, ভারতের বামপন্থী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা শ্রীপাদ অমৃত ডাঙ্গে। মুম্বইয়ের নানা কাপড়ের কলের কর্মীদের নিয়ে বহুদিন এই আসনে ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের দাপট ছিল। ১৯৮২ সালে তো মিল-শ্রমিকদের নিয়ে কার্যত মুম্বই স্তব্ধ করে দেন বিখ্যাত ট্রেড ইউনিয়ন নেতা দত্তাত্রেয় সামন্ত। পরে ১৯৮৪ লোকসভা নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে এই আসনে জেতেন দত্তাত্রেয়। পরে আবার নয়ের দশকে উদারীকরণ ও পাশাপাশি, মুম্বই জুড়ে চলা সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রেক্ষিতে এই আসন হয়ে ওঠে শিবসেনার শক্ত ঘাঁটি। টানা পাঁচবারের সাংসদ ছিলেন মোহন রাওয়ালে।
মুম্বই সাউথ সেন্ট্রাল আসনের মধ্যেই পড়ছে বিখ্যাত ভাবা পরমাণু গবেষণা প্রতিষ্ঠান, ধারাভি বস্তি, প্যারেল, দাদার, ওয়াডালা, পার্সি কলোনি, মাহিম, শিবাজী পার্কের মত নানা বিখ্যাত এলাকা। এবারেও এই আসনে জোর টক্কর হবে শিবসেনার দুই দলে। শিন্ডেপন্থী শিবসেনা এই আসনে দাঁড় করিয়েছে দু'বারের সাংসদ রাহুল শেওয়ালে কে। পাল্টা উদ্ধবপন্থী শিবসেনা রাজ্যসভার সাংসদ ও শিবসেনার অন্যতম সংগঠক অনিল দেশাইকে প্রার্থী করেছে এখানে।
মুম্বই যারা গিয়েছেন, তাঁরা সকলেই জানেন, দক্ষিণ মুম্বই হল শহরের প্রাণকেন্দ্র। গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া, কোলাবা, মুম্বইয়ের বিখ্যাত স্টক এক্সচেঞ্জ, বাইকুল্লা, মালাবার হিলস, মুম্বইয়ের তিন প্রধান রেলস্টেশন (ইউনেস্কো হেরিটেজ সম্মানে সংরক্ষিত ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস, মুম্বই সেন্ট্রাল, চার্চগেট), মেরিন ড্রাইভ ইত্যাদি সবই রয়েছে মুম্বই সাউথ আসনে। স্বাধীনতার পরে এই আসনে জিততেন বোম্বাইয়ের মুকুটহীন রাজা বলে পরিচিত তিনবারের মেয়র, স্বাধীনতা সংগ্রামী সদাশিব কানোজি পাটিল। ১৯৬৭ সালে তাঁকে হারিয়েছিলেন তৎকালীন সংযুক্ত সমতা পার্টির নেতা, পরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী জর্জ ফার্নান্ডেজ। ১৯৮৪ সাল থেকে তিনবার এই আসনে জিতেছিলেন কংগ্রেস নেতা মুরলী দেওরা। ইউপিএ দুই আমলে ২০০৪ ও ২০০৯ দুইবারই জেতেন তাঁর ছেলে মিলিন্দ দেওরা। যিনি আবার এই বছরই কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিয়েছেন শিন্ডেপন্থী শিবসেনায়। মাঝে ১৯৯৬ ও ১৯৯৯ দুইবার জিতেছিলেন বিজেপির জয়ন্তীবেন মেহতা।
এই আসনেও এবার তীব্র লড়াই শিবসেনার দুই দলের। মুম্বই সাউথেরই ওরলি বিধানসভা থেকে বিধায়ক রয়েছেন উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্য। উদ্ধবপন্থী শিবসেনার নেতা অরবিন্দ সওয়ন্তই এবারে তাদের প্রার্থী। ২০১৪ থেকে টানা দু'বারের সাংসদ রয়েছেন তিনি। পাল্টা শিন্ডেপন্থী শিবসেনার প্রার্থী বাইকুল্লার বিধায়ক যামিনী যাদব। তাঁর চিন্তার জায়গা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। জোর জল্পনা ছিল, এবার প্রার্থী হতে পারেন মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার রাহুল নারবেকর। টিকিটের আশায় ছিলেন দুইবারের সাংসদ মিলিন্দও। শেষ অবধি টিকিট পেয়েছেন যামিনী।