শেষ আপডেট: 26th July 2024 17:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো, জলপাইগুড়ি: উত্তরপূর্বাঞ্চলের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের সংযুক্তি চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তাঁর এই আবেদনকেই 'রাজনৈতিক ললিপপ' বলে মন্তব্য করলেন কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টির প্রেসিডেন্ট অমিত রায়। তিনি কামতাপুর ভাষা একাডেমিরও চেয়ারম্যান।
অমিত রায় বলেন, "ভোট আসলেই উত্তরবঙ্গকে নিয়ে রাজনীতি শুরু করে দেয় বিজেপি। ২০২৬ এ রাজ্য বিধানসভার ভোট। এখন থেকেই নতুন করে প্রচার শুরু করতে চাইছে ওরা। আমরা বর্তমানে রাজ্য সরকারের পাশে রয়েছি। রাজ্য সরকার কামতাপুর ভাষা একাডেমি তৈরি করার পাশাপাশি কামতাপুর স্কুল স্থাপন করেছে। তাই আমরা মনে করি রাজ্য সরকার কামতাপুরিদের জন্য কিছু না কিছু কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু বিজেপি খালি ফাঁকা বুলি দেয়। রাজবংশীদের জন্য কিছুই করেনি।"
কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টিরও মূল লক্ষ্য আলাদা রাজ্য। তিনি বলেন, "কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হলেও মেনে নিতে পারি। কিন্তু উত্তরপূর্বাঞ্চলের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের সংযুক্তিকরণ কিছুতেই মেনে নেব না। প্রয়োজনে নতুন করে আন্দোলন শুরু হবে।"
বৃহস্পতিবার দুপুরে জলপাইগুড়ি প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টি। সেখানেই এই মন্তব্য করেন প্রয়াত অতুল রায়ের পুত্র অমিত রায়।
বুধবারই প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দেখা করে উত্তরবঙ্গের ৮ জেলাকে উত্তর-পূর্ব পর্ষদের সঙ্গে যুক্ত করার দাবি জানিয়েছিলেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অন্যদিকে বাংলা ও বিহারের পাঁচটি জেলাকে নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবিতে বৃহস্পতিবার সংসদে সরব হয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তিনি বলেন, "পশ্চিমবাংলার মালদহ ও মুর্শিদাবাদ এবং বিহারের কিষাণগঞ্জ, আরারিয়া, কাটিহার এই তিন জেলায় হু হু করে ঢুকছে বাংলাদেশিরা। এমনকী বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ সুনিশ্চিত করতে বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ মালদহ ও মুর্শিদাবাদের গ্রামের পর গ্রাম খালি করে দিচ্ছে।"
তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, "উনি ঠিক কথাই বলেছেন। তাই তো বাংলা সীমান্তের ৭২টি জায়গায় বিএসএফকে কাঁটাতার লাগাতে অনুমতি দেয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।"