শেষ আপডেট: 10th February 2024 19:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের শনির দশা চলছেই। সুপার কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে ভাবা গিয়েছিল তারা নতুন উদ্যমে ফিরে আসবে ম্যারাথন লিগে। কিন্তু শনিবার অ্যাওয়ে ম্যাচে জন আব্রাহামের নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের কাছে হার ২-৩ গোলে। ম্যাচে লড়াই করলেও আসল কাজ করতে পারেনি ক্লেটন, নন্দকুমাররা।
গত ডার্বি ম্যাচে যেভাবে ইস্টবেঙ্গল খেলেছিল, তার অর্ধেকও খেলতে পারেনি ম্যাচের প্রথম অর্ধে। না হলে খেলা শুরুর ১৫ মিনিটের মধ্যে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড দুটি গোল দেয় কী করে। দলের রক্ষণ নিয়ে ম্যাচের আগেই চিন্তায় ছিলেন লাল হলুদ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত। সেটাই দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
ম্যাচের পাঁচ মিনিটের মধ্যে লাল হলুদের কফিনে প্রথম পেড়েক পোতেন টমি জুরিক। নর্থ ইস্টের জুনিথ মাঝমাঠ থেকে বল ধরে সামনে এগিয়ে যাওয়া নেস্টরকে বলটি বাড়ান, সেটি থেকে শেষমেশ আসল কাজ সারেন জুরিক। সেইসময় দেখা গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের বেহাল দশা।
১০ মিনিটের মধ্যেই ঘরের দল আবারও এগিয়ে গিয়েছে। কাউন্টার অ্যাটাকে গোলটি করেছেন নেস্টর আলবাইচ। তিনি পাসটি পেয়েছিলেন সতীর্থ রিদিমের কাছ থেকে।
খেলার বিরতিতে ভাবা গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম সাত মিনিট একটু যা নড়তে দেখা গিয়েছে ক্লেটনদের, না হলে ঘরের দল নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখেছিল। তাও আক্রমণের বিপরীতে ইস্টবেঙ্গলের নন্দকুমারের গোলটি দারুণ। ব্রাজিলীয় ক্লেটন সিলভার থেকে পাস পেয়ে গোলটি করেছিলেন ভারতীয় স্ট্রাইকার।
গোলটি দেওয়ার পরে গুয়াহাটির মাঠে থাকা লাল হলুদ দর্শকরা ভেবেছিলেন তাঁদের প্রিয় দল গা ঝাড়া দিয়ে উঠবে, সেটি অবশ্য দেখা যায়নি। বরং ম্যাচের ৬৭ মিনিটে নর্থ ইস্টের টমি জুরিক নিজের দ্বিতীয় গোলটি করলেন সোনায় বাঁধিয়ে রাখার মতোই। লাল হলুদ বক্স থেকে সোয়ার্ভিং শটে জাল কাঁপিয়ে দিয়েছেন।
আচমকাই ইস্টবেঙ্গলকে খেলায় ফেরালেন নতুন বিদেশি তারকা ফেলেসিও ব্রাউন। ক্লেটনের পাস থেকে বক্সের মধ্যে জটলা থেকে হেডে গোল করে খেলার ফল ২-৩ করেন। সেইসময় মনে হচ্ছিল খেলায় আবারও প্রাণ ফিরে এসেছে। সেটাই হয়েছে শেষমেশ। দুরন্ত একটা ম্যাচ দেখল গুয়াহাটির গুটিকয়েক দর্শক।