শেষ আপডেট: 7th February 2024 20:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো, উত্তর ২৪ পরগনা: সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে। নিজের বাড়িতে থাকতে হচ্ছে পরবাসীর মতো। আর মানতে পারছেন না শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর। এখন যত দ্রুত সম্ভব কিছু একটা নিষ্পত্তি চাইছেন তিনি।
ইডির গোয়েন্দারা হানা দেওয়ার পর থেকেই বেপাত্তা সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান। মাঝখানে কেটে গেছে ৩২ দিন। শেখ শাহজাহানকে ধরতে তৎপরতার পাশাপাশি তার বাড়িকেও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। কোনায় কোনায় লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। সর্বদা নজরদারি চালাচ্ছেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। বাড়ির বাইরে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা। শেখ শাহজাহানের পরিবারের লোকজনদের আসা যাওয়া করতে হচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীর চোখের সামনে দিয়েই।
লাগাতার তল্লাশিতেও তাকে ছুঁতে না পেরে রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানের বাড়িতে গত মাসে ২৯ শে জানুয়ারি সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ সেঁটে দিয়ে গিয়েছিল ইডি। সেই হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি। ওই দিন শেখ শাহজাহানের আইনজীবী বারাসত জেলা দায়রা আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন। দ্বিতীয় নোটিশে ৭ই ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ আজ বুধবার সকাল সাড়ে দশটার মধ্যে সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এখন পর্যন্ত তিনি হাজিরা দেবেন, এমন কোনও খবর নেই।
শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীরও জানেন না এবারও তিনি হাজিরা দেবেন কিনা। তবে দাদা পালিয়ে যাওয়ার পর তাঁদের একরকম জেলজীবন চলছে বলে জানালেন তিনি। বললেন, "আইনের উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। দ্রুত এর একটা নিষ্পত্তি হোক। এখন আমরা একটা অস্বাভাবিক জীবন যাপন করছি। বাড়ির সামনে পুলিশ পিকেট। জায়গায় জায়গায় ক্যামেরা। বাড়ির মধ্যেও নজরদারিতে থাকতে হচ্ছে। নিজেদের বাড়িতে নিজেদের কোনও স্বাধীনতা নেই। এমন একটা পরিস্থিতিতে থাকতে আর ভাল লাগছে না।" তাহলে পরিবারের লোকই কি এবার চাইছেন ধরা দিক শাহজাহান? আলমগীরের উত্তর, "এই সমস্যা যত তাড়াতাড়ি মেটে ততই ভাল।"