শেষ আপডেট: 22nd July 2024 13:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো, কোচবিহার: বাংলাদেশের পরিস্থিতি উত্তপ্ত। বিদেশি পড়ুয়াদের ইতিমধ্যেই বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ। তবে বিমান-বাস পরিষেবা ক্রমাগত ব্যহত হওয়ায় অনেক পড়ুয়াই বাড়ি ফিরতে পারছিলেন না। ছেলে মেয়েদের চিন্তায় উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছিলেন তাঁদের বাবা-মায়েরা। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা নাসিম হোসেন মল্লিকও আটকে পড়েছিলেন। তিনি ঢাকার ডেল্টা কলেজ থেকে ডাক্তারি পড়ছেন। অবশেষে সোমবার সকালে বাংলাদেশ থেকে বিমানে করে বাড়ি ফিরলেন তিনি।
সোমবার ভোরে তিনি ঢাকা থেকে কলকাতা বিমান বন্দরে পৌঁছন। তারপর ট্যাক্সি ধরে শিয়ালদহ থেকে ট্রেন ধরে বাড়ি ফিরেছেন। ছেলে বাড়ি ফিরে আসতে নিশ্চিন্ত নাসিমের বাবা-মা।
নাসিমের বাবা হাফিজুল ইসলাম বলেন, “ছেলে বাড়ি ফিরে আশায় ভীষণ খুশি। এখন নিশ্চিন্ত লাগছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ছেলেকে বাংলাদেশে পাঠাব না।"
বাংলাদেশে নিজের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে নাসিম জানান, " আমি ঢাকা ডেল্টা মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনা করি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস আমাদের কলেজ থেকে বেশি দূর নয়। সেখানে থেকে আন্দোলনের সূচনা হয়। কোটার বিরোধিতা করে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তার প্রথমে শান্তিপূর্ণই ছিল। কিন্তু আচমকাই পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে। আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসেও সেই আন্দোলনের আঁচ পড়েছিল।"
নাসিমের কথায়, গত ১৮ তারিখ দুপুরে ঢাকার মিরপুরের অবস্থিত তাঁদের মেডিক্যাল কলেজে হামলা চালায় এক দল আন্দোলনকারী। হামলাকারীদের হাতে খুন হন ওই কলেজের এক নিরাপত্তা কর্মী। ভাঙচুর চালানো হয়। অবশেষে কলেজ কর্তৃপক্ষ বিদেশি পড়ুয়াদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা নেয়।
শুধু নাসিম একা নন, ভারতীয় বহু পড়ুয়া এখনও আটকে পড়েছেন বাংলাদেশে। রবিবার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত থেকে চারশর বেশি পড়ুয়াদেশে ফিরছেন। তাঁরা কেউ অসমের, কেউ বা রাজস্থানের। কেউবা এপার বাংলার। শুরু তাই নয়, পড়শি দেশ নেপাল বা ভুটানের পড়ুয়াও রয়েছেন।