শেষ আপডেট: 18th July 2024 12:53
দ্য ওয়াল ব্যুরো, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : সুড়ঙ্গ দিয়ে মাতলার খাল। তারপর নদী পথে গা ঢাকা দিয়েও শেষরক্ষা হল না। ধরা পড়ে গেল কুলতলির দুষ্কৃতী সাদ্দাম সর্দার। বৃহস্পতিবার বারুইপুর জেলা পুলিশের এসপি পলাশ ঢালি জানান, মোবাইল ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করেই চুপড়িঝাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি আলাঘরে তার খোঁজ মেলে। তারপরেই আর দেরি করেনি পুলিশ। রাতের অন্ধকারে বিশাল বাহিনী ঘিরে ফেলে গোটা এলাকা। মান্নান খান নামে এক ব্যক্তির ভেরির আলাঘর থেকে গ্রেফতার করা হয় সাদ্দামকে।
এসপি বলেন, "সাদ্দামের সঙ্গেই ধরা পড়া মান্নান নিজেকে সিপিএম কর্মী বলে পরিচয় দিয়েছেন। সাদ্দামকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।" তিনি জানান, গত দশবছরে সাদ্দামের বিরুদ্ধে প্রতারণা, চোরাই মূর্তি বিক্রি, জাল নোট ছাপানো-সহ একাধিক অভিযোগ হয়েছে। সাতটি মামলায় চার্জশিটও হয়েছে। এবার আবারও ১২ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ ওঠে সাদ্দাম সর্দারের বিরুদ্ধে।
এসপি বলেন, "কম দামে সোনা বিক্রির টোপ দিয়ে চক্রের লোকজন এই পয়তারহাটে সাদ্দামের গ্রামে ডেকে নিয়ে আসা হত ক্রেতাদের। তারপর চলত দরদস্তুর। লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে নকল সোনা গছিয়ে দেওয়া হত ক্রেতাদের।" নকল সোনা দিয়ে ১২ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে সোমবার সকালে কুলতলির দুই নম্বর জ্বালাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পয়তারহাট গ্রামে অভিযান চালায় কুলতলি থানার পুলিশ। তখনই পুলিশকে ঘিরে ফেলে তার পরিবারের লোকজন। অভিযোগ, পুলিশকে মারধর করা হয়। এমনকী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিও চালানোর অভিযোগ ওঠে সাদ্দামের ভাই সইরুলের বিরুদ্ধে। এই ডামাডোলের সময় গা ঢাকা দেয় সাদ্দাম ও তার ভাই সইরুল। এসপি জানান, সাদ্দামের খোঁজ মিললেও সইরুল এখনও পলাতক। তার খোঁজ চলছে।
বারুইপুর পুলিশ জেলার এসিপি জানান, এদিনই আদালতে তোলা হচ্ছে সাদ্দামকে। হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার সমস্ত কুকীর্তি সামনে আসবে। কেন ঘরের মধ্যে সে সুড়ঙ্গ খুঁড়েছিল, এই সুড়ঙ্গ পথে কী ধরনের কারবার চালাত, সবই সামনে আসবে।