শেষ আপডেট: 19th July 2024 17:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হাওড়া: এসি চালিয়ে সপরিবারে ঘুমোচ্ছিলেন বাড়ির কর্তা। ছাদ ডিঙিয়ে পাশের ঘরের ছোট জানলা ভেঙে ঘরে ঢোকে চোর। এরপর আলমারি খুলে নগদ ১২ লক্ষ টাকা ও আড়াই ভরি সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয়। দুষ্কৃতীরা সংখ্যায় একাধিক ছিল বলেই পুলিশের অনুমান।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সাঁকরাইলের ধুলাগড়ে এই দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে। হাজিসাহেব পাড়ায় থাকেন জরির দোকানের মালিক মিরজাহান সেপাই। রাতে ভ্যাপসা গরম থাকায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে মিরজান এসি ঘরে ঘুমোতে যান। পাশের ঘরে আলমারিতে ছেলে এবং মেয়ের বিয়ের জন্য যাবতীয় টাকা এবং সোনার গয়না রাখা ছিল। ছিল ব্যবসার কিছু টাকাও। ছাদ টপকে বাড়িতে ঢোকে চোর। এরপর ছোট জানলা ভেঙে পাশের ঘরে ঢুকে চাবি খুঁজে বের করে। আলমারির খুলে বারো লাখ টাকা নগদ এবং আড়াই ভরি সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয়।
শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চুরির ঘটনাটি পরিবারের লোকেদের নজরে আসে। তাঁরা দেখেন, আলমারি খোলা। সমস্ত কিছু ছড়িয়ে রয়েছে। খোয়া গেছে টাকা ও সোনার গয়না। সঙ্গে সঙ্গে ধুলোগড় পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন। ব্যবসায়ী মিরজাহান সেপাই জানান, ছেলে ও মেয়ের বিয়ের ঠিক হয়ে গেছে। সেজন্য টাকা ও গয়না বাড়ির আলমারিতে এনে রেখেছিলেন। যা কয়েকজন পরিচিত জানতেন। তাই পরিচিতদের দিকেই সন্দেহের আঙুল উঠেছে। পুলিশও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
এসিপি সাউথ অরিজিৎ পাল চৌধুরী জানান, যেভাবে চোরেরা আলমারির চাবি খুঁজে বের করে তা দেখে অনুমান তারা মিরজানের পরিচিত। সর্বস্ব চুরি যাওয়ায় মিরজাহান এখন বুঝতে পারছেন না কীভাবে ছেলে এবং মেয়ের বিয়ে দেবেন।