মানিকচক থানার এনায়েতপুরে পুলিশের ওপরে হামলার ঘটনা।
শেষ আপডেট: 18th July 2024 21:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মালদার মানিকচক থানার এনায়েতপুরে পুলিশের ওপরে হামলার ঘটনা প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল রাজ্য পুলিশ। বিবৃতিতে পুলিশের তরফে পরিষ্কারভাবে দাবি করা হয়েছে, স্থানীয় মানুষের বিক্ষোভের সুযোগকে কাজে লাগিয়েএকদল দুষ্কৃতী পুলিশের ওপরে আক্রমণ করে। দুষ্কৃতীদের হাতে পেট্রোল বোমা ছিল বলেও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। তবে পুলিশই গুলি চালিয়েছিল কিনা বিবৃতিতে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়নি। তবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
যদিও এদিন সংবাদমাধ্যমের কাছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন পুলিশের গুলি চালানোর কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, "যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তাতে বাধ্য হয়েই পুলিশ গুলি চালিয়েছে।" পরে এ ব্যাপারে মালদহের এসপি প্রদীপ কুমার যাদবও সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "আত্মরক্ষার্থে পুলিশ বাধ্য হয়ে গুলি চালিয়েছে।"
লাগাতার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রতিবাদ জানাতে মালদহের মানিকচকের এনায়েতপুরে এদিন জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিলেন স্থানীয়রা। অবরোধ তুলতে গিয়ে আক্রান্ত হয় পুলিশ। মানিকচক থানার আইসি-সহ বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী জখমও হন। অভিযোগ, পুলিশের গুলিতে দু'জন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। সূত্রের খবর, গোটা ঘটনায় মালদহের এসিপর কাছে রিপোর্ট চেয়েছে নবান্ন।
পুলিশের প্রকাশিত বিবৃতিতে কী বলা হয়েছে? রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এলাকায় অনিয়মিত বিদ্যুৎ পরিষেবার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বৃহস্পতিবার মানিকচক থানার এনায়েতপুরে স্থানীয় মানুষ রাস্তা অবরোধ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় মানুষকে অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ করে, বোঝানোর চেষ্টা করে। উত্তেজিত জনতা সেই অনুরোধে কর্ণপাত না করে পুলিশের উপর চড়াও হয়, এবং পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর করে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আই সি মানিকচক ঘটনাস্থলে পৌঁছলে জনতা আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু হয়। আইসি মানিকচক-সহ একাধিক পুলিশকর্মী আহত হন। জনতা পেট্রোল বোমা, ইট এবং লাঠি নিয়ে পুলিশকে তাড়া করে। কাছের একটি বাড়িতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন আই-সি সহ অন্য আহত পুলিশকর্মীরা। পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত পুলিশকর্মীদের উদ্ধার করেন, এবং হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। আহতদের মধ্যে ৩ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। ঘটনায় কিছু স্থানীয় মানুষও আহত হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে ২ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রসঙ্গত, স্থানীয়দের যে দু'জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, তাঁরা গুলিবিদ্ধ। কীভাবে তাঁরা গুলিবিদ্ধ হলেন তা অবশ্য পুলিশের বিবৃতিতে উল্লেখ নেই। তবে পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। রাস্তা অবরোধমুক্ত করা হয়েছে। আইজি মালদা রেঞ্জ, মালদহের পুলিশ সুপার-সহ সিনিয়র অফিসাররা ঘটনাস্থলে রয়েছেন।