শেষ আপডেট: 4th June 2024 18:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মঙ্গলবার সন্ধেয় লোকসভা ভোটের ফলাফল স্পষ্ট হতেই সাংবাদিক বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে নরেন্দ্র মোদীর ইস্তফা দাবি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাঁর কথায়, “মোদীজি অনেক রাজনৈতিক দল ভেঙেছেন। এই ভোটে দেশের মানুষ তাঁর মাজা ভেঙে দিয়েছে। এবার নৈতিক পরাজয় স্বীকার করে ইস্তফা দিন উনি।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, মোদীর গ্যারান্টির কথা। মানুষ তা প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশের মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সন্ধেয় যখন সাংবাদিক বৈঠক করেন, তখনও গণনা প্রক্রিয়া চলছে। তবে মোটামুটি ভাবে স্পষ্ট যে চব্বিশের এই সাধারণ নির্বাচনে বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার লক্ষণ আর নেই। তার উপর বাংলায় স্যুইপ করেছে তৃণমূল। সন্দেহ নেই এতে যারপরনাই উচ্ছ্বসিত তৃণমূল কংগ্রেস তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলনেত্রী বলেন, “এ হল অহঙ্কারীর দর্পচূর্ণ। এত অহঙ্কার ভাল নয়। নরেন্দ্র মোদী আগে পাঁচ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জিততেন। সেই ব্যবধান দেড় লাখে নেমে এসেছে। ইন্ডিয়া জিতেছে, মোদী হেরেছে।”
এবার লোকসভা ভোটের আগে দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি। ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এখন জেলে রয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নির্লজ্জ ভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে। ইডি, সিবিআইকে দিয়ে আমাদের উপর অত্যাচার করা হয়েছে। এমনকি বিরোধী দলের নেতাদের ফোনে হুমকি দেওয়া হয়েছে। টাকার প্রলোভন দেওয়া হয়েছে। এই অনাচার দেশের সহ্য হয়নি।”
এবার লোকসভা ভোটের আগে দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি। ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এখন জেলে রয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নির্লজ্জ ভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে। ইডি, সিবিআইকে দিয়ে আমাদের উপর অত্যাচার করা হয়েছে। এমনকি বিরোধী দলের নেতাদের ফোনে হুমকি দেওয়া হয়েছে। টাকার প্রলোভন দেওয়া হয়েছে। এই অনাচার দেশের সহ্য হয়নি।”
মমতার কথায়, ওঁরা ভেবেছিল ফের লাফিয়ে লাফিয়ে সরকারে আসবে। তার পর নিজের ইচ্ছেমতো আইন পাশ করাবে। তা আর হবে না। এবার তা করতে গেলে বিরোধীরা চেপে ধরবে। ইডি, সিবিআইয়ের অত্যাচার আর চলবে না। ইচ্ছা মতো আইন পাশ করা যাবে না। মমতা জানান, এদিন ফলাফল স্পষ্ট হতেই উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব তাঁকে ফোন করেছিলেন। তিনি নিজেও রাহুল গান্ধীকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। মমতা বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন, বিজেপি জোট সরকার গড়ে ক্ষমতায় এলেও আগামী দিন তাঁদের খুব মসৃণ হবে না। সংসদের ভিতরে বাইরে চেপে ধরবেন বিরোধীরা।