Advertisement
Advertisement
শেষ আপডেট: 11 December 2023 19:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর রবিবারই দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নাইডু চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাওয়া হয় দুই সাইবেরিয়ান বাঘ লারা ও আকামাসকে। এবার বর্ধমান জুওলজিকাল পার্ক থেকে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ির পথে চিতাশাবক কৃষ্ণা। জন্মের দু’বছর পর বর্ধমানের মিনি-জু থেকে বেঙ্গল সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কৃষ্ণাকে। আপাতত কৃষ্ণার ঠিকানা হবে এখানেই। বিভাগীয় নিয়ম অনুযায়ী এটি রুটিন বদলি বলে বন দফতর সূত্রে জানা গেছে।
সোমবার সকাল থেকেই সাজো সাজো রব ছিল রমনার বাগান মিনি জু'তে। তৈরি ছিল গাড়ি। দুপুর পেরিয়ে বিকেলে উত্তরবঙ্গে রওনা দিল কৃষ্ণা। রমনার বাগান মিনি জুতেই ২০২১ সালে জন্ম নিয়েছিল সে। নয়ের দশকে প্রথম চিতাবাঘ নিয়ে আসা হয়েছিল রমনার বাগানে। প্রথমে অজয় নামে একটি পুরুষ চিতাবাঘ এবং কাঁকসা নামের স্ত্রী চিতাবাঘ থাকত এখানে। মাঝে বেশ কয়েক বছর কোনও চিতাবাঘ ছিল না। আবার কয়েকবছর আগে এনক্লোজার তৈরি করা হয়। নিয়ে আসা হয় দু'টি চিতাবাঘ। এখন তাদের সংখ্যা চার। তার মধ্যেই একটিকে পাঠানো হল উত্তরবঙ্গের বেঙ্গল সাফারি পার্কে।
সকাল থেকে চিতাবাঘটির নানা শারীরিক পরীক্ষা হয়। তারপর গাড়ি করে তাকে পাঠানো হল বেঙ্গল সাফারি পার্কে। বর্ধমান জুওলজিকাল পার্কের ভেটেরনারি সার্জন ডা: তপনকুমার ঘোষ জানান, চিতা বাঘটি সুস্থ আছে। এটির বিনিময়ে অন্য একটি চিতাবাঘকে এখানে আনা হবে। বর্ধমানের বনাধিকারিক নিশা গোস্বামী বলেন, “পশুর আদানপ্রদান স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। কিছুদিন পরে অন্য একটি চিতাবাঘ আসবে এখানে। এছাড়াও সিলভার ফিজেন্ট, গোল্ডেন ফাউল আসার কথা। এখানে বাঘ আনারও পরিকল্পনা আছে। অনুমোদন পেলে নতুন বছর এখানে বাঘ আনা হবে।”
Advertisement
Advertisement