শেষ আপডেট: 13th March 2024 11:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কিরণ রাও পরিচালিত নতুন ছবি ‘লাপাতা লেডিস’ ইতিমধ্যেই দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। ‘ধোবি ঘাট’-এর পর প্রায় ১৪ বছর পর আবার নির্দেশনায় এলেন আমিরের প্রাক্তন স্ত্রী!
এই ‘আমিরের প্রাক্তন স্ত্রী’ কথাটাই কিরণ রাওকে বিচ্ছেদের পরেও শুনতে হয়। যেন এটাই ওঁর একমাত্র পরিচয়! তবে অদ্ভুত ভাবেই এই তকমা নিয়ে উনি বিব্রত নন। বরং খোলা মনে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, আমি জানি আমার সঙ্গে সারাজীবন আমিরের নাম জুড়ে থাকবে। সেটা নিয়ে অতো ভাবি না। আমরা আগেও বন্ধু ছিলাম, আজও আছি।
লগন ছবি মুক্তির এক বছর পর অর্থাৎ ২০০২ সালে রিনা রায় ও আমির খানের বিচ্ছেদ হয়। লগন ছবিতে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করছিলেন কিরণ। সবাই এটাই ভাবে যে কিরণই রিনা ও আমিরের বিচ্ছেদের কারণ। তবে তা নয় সেটা কিরণ নিজেই পরিষ্কার করে বলে দিলেন একটি সাক্ষাৎকারে। জানালেন, কিরণ যখন আশুতোষ গোয়ারিকরের ‘স্বদেশ’ ছবিতে সহকারি পরিচালক হিসেবে কাজ করছিলেন, সেই সময় আমিরের সঙ্গে ওঁর সম্পর্ক দানা বাঁধে।
কিরণ আরও বলেন, ‘অনেকেই ভাবে আমির আর আমার লগনের সময় থেকেই প্রেম শুরু হয়েছিল। আসলে তা নয়। স্বদেশ ছবিতে যখন আমি কাজ করছিলাম তখন আমির মঙ্গল পান্ডে নিয়ে ব্যস্ত ছিল। আমরা একসঙ্গে কিছু বিজ্ঞাপন শ্যুট করেছিলাম। তখনই ৩-৪ বছর পর আবার আমাদের দেখা হয়। আসলে লগনের শ্যুটিংয়ের সময় আমরা কথাও তেমন বলতাম না। কারণ ওইসময় আমি অন্য একজনের সঙ্গে প্রেম করতাম। ২০০৪ থেকে আমার আর আমিরের প্রেমটা শুরু হয়। তাই আমার জন্য ওঁদের ডিভোর্স হয়েছিল এই কথাটা একেবারেই ভুল।’
ওঁদের প্রেম শুরুর পরেও কিরণকে অনেক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হত। আমির তাঁর পুরনো সম্পর্কের খারাপলাগাগুলো থেকে তখনও বেরোতে পারেনি। তাই তাঁকে কাউন্সিলিংও করাতে হত।
২০০৫ সালে বিয়ে করে আমির ও কিরণ, ২০২১ সালে ওঁদের বিচ্ছেদ হয়। তবে আইনত আলাদা হলেও বন্ধুত্ব আজও অটুট আছে। ছেলে আজাদকে দুজনে মিলেই দেখাশোনা করে এই যুগল। সম্প্রতি আমির খানের প্রযোজনায় মুক্তি পেয়েছে ‘লাপাতা লেডিস’।