অংশুমান কর
‘বিদ্রোহী’ কবিতা রচনা ও প্রকাশের শতবর্ষ পালিত হচ্ছে দুই বাংলা জুড়ে। হয়তো বা পৃথিবীর নানা প্রান্তেও। ছেলেবেলায় প্রথম-পড়া এই কবিতাটি আমি সারাজীবনে যে-কবিতাগুলি সবচেয়ে বেশিবার পড়েছি, সেই কবিতাগুলির মধ্যে অন্যতম। কেন বারবার ফিরে ফিরে
‘বিদ্রোহী’ কবিতা রচনা ও প্রকাশের শতবর্ষ পালিত হচ্ছে দুই বাংলা জুড়ে। হয়তো বা পৃথিবীর নানা প্রান্তেও। ছেলেবেলায় প্রথম-পড়া এই কবিতাটি আমি সারাজীবনে যে-কবিতাগুলি সবচেয়ে বেশিবার পড়েছি, সেই কবিতাগুলির মধ্যে অন্যতম। কেন বারবার ফিরে ফিরে যাই এই কবিতাটির কাছে? তা কি একসময় গলার শিরা ফুলিয়ে এই কবিতাটি আবৃত্তি করতাম বলে? নাহ। কবিতার তন্নিষ্ঠ পাঠক হিসেবেই এই কবিতাটি আমার কাছে পুনঃপাঠ দাবি করে।ঠিক কোন মাসে ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি লেখা হয়েছিল তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও মোটামুটিভাবে সকলেই এটুকু স্বীকার করে নিয়েছেন যে, ১৯২১ সালে কবিতাটি লেখা হয়েছিল।
এই প্রসঙ্গে সদ্যপ্রয়াত বাংলাদেশের নজরুল গবেষক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম তাঁর 'কাজী নজরুল ইসলাম জীবন ও সৃজন' গ্রন্থে লিখেছেন: শান্তিনিকেতন থেকেপ্রত্যাবর্তনের পরে নজরুল ও মুজফ্ফর আহমেদের ৩/৪ সি, তালতলা লেনের বাড়িতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও সাহিত্যিক ঘটনা ঘটে। একটি হলো ভারতের ‘কমিউনিস্ট পার্টি’ গঠন। অপরটি ‘বিদ্রোহী’ কবিতা রচনা।এ বড়ো সত্যি কথা। দু’টি ঘটনাই ঐতিহাসিক। কাকাবাবুই ছিলেন ‘বিদ্রোহী’ কবিতার প্রথম শ্রোতা। রাত্রি গহ্বরে এই কবিতা জন্ম নেওয়ার পরে, পরের দিন নজরুল কাকাবাবুকে কবিতাটি শুনিয়েছিলেন। মুজফ্ফর আহমেদ ‘বিদ্রোহী’ রচনার প্রসঙ্গে লিখেছেন, “সে [নজরুল ইসলাম] কবিতাটি লিখেছিল রাত্রিতে। রাত্রির কোন সময়ে আমি তা জানিনে। রাত দশটার পরে আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলেম। সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ ধুয়ে এসে আমি বসেছি এমন সময় নজরুল বলল, সে একটি কবিতা লিখেছে। পুরো কবিতাটি সে তখন আমায় পড়ে শোনাল। ‘বিদ্রোহী’ কবিতার আমিই প্রথম শ্রোতা।" এর খানিক পরে মুজফ্ফর আহ্মদ আবার লিখেছেন, “আমার মনে হয় নজরুল ইসলাম শেষ রাতে ঘুম থেকে উঠে কবিতাটি লিখেছিল। তা না হলে এত সকালে সে আমায় কবিতা পড়ে শোনতে পারত না। তার ঘুম সাধারণত দেরিতেই ভাঙত, আমার মত তাড়াতাড়ি তার ঘুম ভাঙত না। এখন থেকে চুয়াল্লিশ বছর আগে নজরুলের কিংবা আমার ফাউন্টেন পেন ছিল না। দোয়াতে বারে বারে কলম ডোবাতে গিয়ে তার মাথার সঙ্গে তার হাত তাল রাখতে পারবে না, এই ভেবেই সম্ভবত সে কবিতাটি প্রথম পেনসিলে লিখেছিল।” ভাবলে আশ্চর্য হতে হয় যে, মাত্র একটি রাতে যে-কবিতা রচিত হয়েছিল, সেই কবিতাটি প্রকাশ করার জন্য পরের দিনই তালতলার ওই বিখ্যাত বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন দু-টি পত্রিকার প্রতিনিধি। ধর্ম পরিচয়ে প্রথম জন মুসলিম। সম্পাদনা করতেন 'মোসলেম ভারত'। দ্বিতীয় জন ধর্ম পরিচয়ে হিন্দু, অবিনাশচন্দ্র ভট্টাচার্য। যুক্ত ছিলেন যে-পত্রিকার সঙ্গে তার নাম 'বিজলী'। কবিতাটি প্রথমে প্রকাশ পায় 'বিজলী'তে। মুহম্মদ নুরুল হুদা তাঁর 'নজরুলের শিল্পসিদ্ধি ও বিদ্রোহী' গ্রন্থে ‘বিদ্রোহী’ কবিতা প্রকাশ এবং তৎপরবর্তী প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের জানিয়েছেন যে, “১৯২২ সালের ৬ জানুয়ারি কবিতাটি সাপ্তাহিক 'বিজলী' পত্রিকায় প্রথম ছাপা হয়। প্রকাশের পরপরই এই কবিতাটির পাঠকপ্রিয়তার কারণে পত্রিকাটি পুনর্মুদ্রণ করতে হয়। দুবারে পত্রিকাটি মোট ২৯০০০ কপি ছাপা হয়, যা তৎকালে একটি অবিশ্বাস্য ঘটনা”। তিনি আরও সংযোজন করেছেন যে, কবিতাটি প্রকাশের পরে প্রায় দু-লক্ষ মানুষ কবিতাটি পাঠ করেছিলেন বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। এই পরিসংখ্যান যদি সত্য হয়, তাহলে মানতেই হবে যে, একটি কবিতাকে ঘিরে পাঠকের এই উদ্দীপনা শুধু বাংলা সাহিত্যে কেন বিশ্বসাহিত্যেও আর দ্বিতীয়বার দেখা গেছে কি না সন্দেহ আছে। কবিতাটির পাঠকপ্রিয়তার কাহিনি অবশ্য এখানেই শেষ হয় না। কবিতাটি এতই জনপ্রিয় হয়েছিল যে, একাধিকবার কবিতাটি সেকালের প্রথম সারির একাধিক পত্রিকায় পুনর্মুদ্রিত হয়। যেমন 'প্রবাসী'র মাঘ ১৩২৮ সংখ্যা, 'সাধনা'র বৈশাখ ১৩২৯ সংখ্যা এবং 'ধূমকেতু'র ২২ আগস্ট ১৯২২ সংখ্যায় কবিতাটি পুনর্মুদ্রিত হয়েছিল। কবিতাটির অনুকরণেও লেখা হয়েছিল অনেকগুলি কবিতা এবং ব্যঙ্গ কবিতা বা প্যারোডি। প্যারোডিও এই কবিতাটির তুমুল জনপ্রিয়তারই প্রমাণ দেয়। 'শনিবারের চিঠি'র বিখ্যাত সম্পাদক সজনীকান্ত দাস এই কবিতার প্যারোডি করেছিলেন। রচনা গুরুত্বপূর্ণ না-হলে সজনীকান্ত দাস-এর আক্রমণের শিকার হওয়া ছিল অসম্ভব, এমন একটি ভাবনা আজও পাঠকসমাজে জাগরূক। বোঝাই যায় যে, সজনীকান্ত দাসও ‘বিদ্রোহী’র গুরুত্বকে অস্বীকার করতে পারেননি। কবিতাটি নজরুল যখন লিখেছিলেন তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র একুশ। সেই সময়ের কিছু তরুণ কবি (যাঁদের কেউ কেউ ক্রমশ হয়ে উঠবেন বরেণ্য সম্পাদক-সমালোচক) ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটিকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। বুদ্ধদেব বসু লিখেছিলেন, “মনে হ’লো এমন কখনো পড়িনি–দেশব্যাপী উদ্দীপনার এ-ই যেন বাণী”।প্রেমেন্দ্র মিত্র লিখেছিলেন, “হঠাৎ একটা তীব্র প্রবল তুফানের ঝাপটা কাব্যের রূপ নিয়ে তরুণ মনকে উদ্বেল করে তুলেছিল”। অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত লিখেছিলেন, “এ কে নতুন কবি? নির্জীব দেশে এ কার বীর্যবাণী? বাংলা সাহিত্য নয়, সমগ্র দেশ প্রবল নাড়া খেয়ে জেগে উঠলো”। শোনা যায় যে, এই কবিতার ছন্দ ব্যবহার মুগ্ধ করেছিল ছন্দের জাদুকর সত্যেন্দ্রনাথ দত্তকে। সম্ভবত একথাও সত্যি যে, নিজকণ্ঠে নজরুল ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্মুখে পাঠ করার পরে বিশ্বকবি তরুণ এই বিস্ময়প্রতিভাকে জড়িয়ে ধরেছিলেন বুকে। প্রশ্ন ওঠে, কী আছে এই কবিতায়? কেন আমি বারবার পড়ি এই কবিতাটি? উদ্দাত্ত কণ্ঠে আবৃত্তি করি আজও, মাঝেমাঝেই? কেন একটি কবিতার শতবর্ষই বা পালিত হচ্ছে আজ দু-বাংলা জুড়ে? বেশ কতগুলি কারণ আছে এর। খেয়াল করলে দেখা যাবে যে, এই কবিতাটিতে বাঙালি (এবং বৃহৎ অর্থে ভারতীয়) অস্মিতার জাগরণ ঘটেছে। সবচেয়ে বেশি যে-শব্দটি এই কবিতাটিতে ব্যবহৃত হয়েছে, সেটি হল ‘আমি’। যে-ইউরোপীয় আলোকপ্রাপ্তি ও মানবতাবাদের স্পর্শে আমাদের দেশে নবজাগরণ সঙ্ঘঠিত হয়েছিল, ঔপনিবেশিক শাসনের দৌলতে প্রাপ্ত সেই আলোকপ্রাপ্তির ধারণাটিকেই তো আমরা ব্যবহার করেছিলাম ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে সংগ্রামে। এই কবিতাটি হয়ে উঠেছিল সেই সংগ্রামের আয়ুধ। এই ‘আমি’কে তাই একটি নিরীহ সর্বনাম হিসেবে দেখলে ভুল দেখা হবে। এই আমি ‘ব্যক্তিক’ও নয়। এই আমি আসলে সমষ্টির প্রতিভূ। যে-সমষ্টি এই কবিতার মাধ্যমেই যেন-বা সংহত করেছিল ‘আত্মশক্তি’। কবিতাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আরও কয়েকটি কারণেও। এই কবিতার হাত ধরেই বাংলা কবিতা রবীন্দ্রপ্রভাবের বাইরে নিজ-অস্তিত্ব নির্মাণের কাজ শুরু করে। প্রতিবাদের কবিতা রবীন্দ্রনাথও লিখেছিলেন, কিন্তু নজরুলের প্রতিবাদ ছিল চরিত্রে সম্পূর্ণ আলাদা। নির্মিত নয়, বন্ধনহীন জলতরঙ্গের মতো তাঁর প্রতিবাদ ছিল স্বতোৎসারিত। কবিতার কৃৎকৌশল এবং নির্মাণের শৃঙ্খল নজরুলের বিদ্রোহী চেতনা ও তার স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশকে রুদ্ধ করতে পারেনি। রবীন্দ্রনাথের জীবৎকালে যাঁরা কবিতা লিখেছেন তাঁদের মধ্যে জীবনানন্দ দাশ, সমর সেন এবং সুকান্ত ভট্টাচার্য ছাড়া একমাত্র নজরুলকেই সম্পূর্ণভাবে রবীন্দ্রপ্রভাব মুক্ত বলা যায়। তাঁর কবিতা ও সংগীত দুই-ই ছিল বিশিষ্ট। ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটির মাধ্যমেই নজরুল অসাম্প্রদায়িক বাঙালিত্বের ধারণাটিকেও বাংলা কবিতার অন্দরমহলে প্রতিষ্ঠা দেন। ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটিতে রামায়ণ, মহাভারত, বেদ-উপনিষদ-ভাগবত গীতার সঙ্গেই ব্যবহৃত হয়েছে ইসলামিক মিথ। তবে, পরিসংখ্যান নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করা তাত্ত্বিকেরা দেখিয়েছেন যে, সবচেয়ে বেশিবার এই কবিতায় তিনি ব্যবহার করেছেন শিবকে, ভিন্ন ভিন্ন নামে। কখনও তিনি নটরাজ, কখনও মহাদেব, কখনও ধূর্জটি, কখনও আবার পিনাকপাণি। বাংলা কবিতায় শিব-চর্চার যে-একটি ধারা ধীরে নির্মিত হয় এবং ক্রমশ একটি সংহত রূপ পায়, তার সূচনাও কি ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটিতেই হয়নি? হিন্দু এবং ইসলামিক মিথের পাশাপাশিই গ্রিক মিথের চরিত্র ‘অর্ফিয়ুস’কেও এই কবিতায় ব্যবহার করেন নজরুল। ফলে, এই কবিতা প্রকাশের পরেই বেশ বোঝা গিয়েছিল যে, আগামীতে এই তরুণ কবি লিখবেন একের পর শ্যামা সংগীত, যা বাঙালির অন্তঃপ্রকৃতিকে দোলা দিয়ে যাবে চিরকাল। বোঝা গিয়েছিল যে,অচিরেই এই তরুণ বাতিল করবেন ‘মুসলিম সাহিত্য’ বলে সাহিত্যের একটি স্বতন্ত্র ধারা নির্মাণের প্রচেষ্টাকে। ইব্রাহিম খাঁ সাহেবের 'মুসলিম- সাহিত্য' সংক্রান্ত বক্তব্যের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি লিখেছিলেন: “আপনার ‘মুসলিম-সাহিত্য’ কথাটার মানে নিয়ে অনেক মুসলমান সাহিত্যিকই কথা তুলবেন হয়তো। ওর মানে কি মুসলমানের সৃষ্ট সাহিত্য, না মুসলিমভাবাপন্ন সাহিত্য? সাহিত্য যদি সত্যিকার সাহিত্য হয়, তবে তা সকল জাতিরই হবে। তবে তার বাইরের একটা ফর্ম থাকবে নিশ্চয়। ইসলাম ধর্মের সত্য নিয়ে কাব্য-রচনা চলতে পারে, কিন্তু তার শাস্ত্র নিয়ে চলবে না—ইসলাম কেন, কোনো ধর্মেরই শাস্ত্র নিয়ে কাব্য লেখা চলে বলে আমি বিশ্বাস করি না। ইসলামের সত্যকার প্রাণশক্তি গণতন্ত্রবাদ, সার্বজনীন ভ্রাতৃত্ব ও সমানাধিকারবাদ। ইসলামের এই অভিনবত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব আমি তো স্বীকার করিই, যাঁরা ইসলাম ধর্মাবলম্বী নন, তাঁরাও স্বীকার করেন। ইসলামের এই মহান সত্যকে কেন্দ্র করে কাব্য কেন, মহাকাব্য সৃষ্টি করা যেতে পারে। আমি ক্ষুদ্র কবি, আমার বহু লেখার মধ্য দিয়ে আমি ইসলামের এই মহিমা-গানই করেছি। তবে কাব্যকে ছাপিয়ে ওঠেনি সে-গানের সুর। তা হলে তা কাব্য হবে না”।অনেকেই অনেক সময় নজরুলের কবিতার গঠনগত শিথিলতার কথা তুলে থাকেন। সেই শৈথিল্যও ‘বিদ্রোহী’তে প্রায় অনুপস্থিত। মাত্রাবৃত্তের অতিপর্ব নিয়ে এই কবিতায় যে-খেলা তিনি খেলেছেন, তা বিস্মিত করে। বিস্মিত করে বেশ কিছু মিলও। ‘চেঙ্গিস্’-এর সঙ্গে আনায়াসে তিনি মিল দিয়েছেন ‘কুর্ণিশ্’-এর। যেভাবে তৎসমের পরে লোকজ শব্দ, বাংলার পাশে আরবি শব্দ, এমনকি ইংরেজি শব্দও (মাইন) তিনি অক্লেশে বসিয়েছেন, তা বাংলা কবিতায় এর আগে আর দেখা যায়নি। নজরুল ইসলাম বাংলা কবিতা না-লিখলে, ‘বিদ্রোহী’ না-লিখলে, আজ এত সহজে আমরা কবিতায় হিন্দি, উর্দু, ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করতে পারতাম না। তবে, বাংলা কবিতা লেখার চেষ্টা করে-যাওয়া একজন অক্ষরকর্মী হিসেবে এই কবিতাটি বারবার পড়লে যা আমাকে প্রতিবার বিস্মিত করে তা হল কবির সাহস; না ‘সাহস’ শব্দে আমি যা বলতে চাইছি সেই অর্থটিকে স্পষ্ট প্রকাশ করা যাবে না। সাহস নয়, শব্দটি হওয়া উচিত ‘হিম্মত’। নজরুলের হিম্মত আমাকে অবাক করে। ‘আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দেবো পদ-চিহ্ন!’--এই পঙ্ক্তি কতজন বাঙালি কবি আজ লিখতে পারবেন, আমার সন্দেহ আছে। সত্যিই, আমাদের আছে সাহস (তাও নকল); নজরুলের ছিল হিম্মত।