শেষ আপডেট: 9th October 2023 18:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে বগটুই কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের রহস্যমৃত্যুতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করেছিল জেলা পুলিশ। পরিকল্পনামাফিক খুন ও খুনের ষড়যন্ত্রে অংশগ্রহণ করার অভিযোগে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও ১২০ বি ধারায় মামলাও রুজু করেছিল জেলা পুলিশ।
এবার ওই মামলাতেই ভিনরাজ্যের পুলিশকর্তা নিয়োগের ইঙ্গিত দিল শীর্ষ আদালত। সূত্রের খবর, লালন শেখের রহস্যমৃত্যুর তদন্তে রাজ্য সরকার, রাজ্য পুলিশ এবং সিবিআইকে নোটিস পাঠাচ্ছে আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি ৩০ অক্টোবর। এদিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, লালন শেখের মৃত্যুর কারণ যাই হোক সিবিআই এই ঘটনার তদন্ত করতে পারে না।
আদালতের পর্য়বেক্ষণ, যেখানে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধেই অভিযোগ, সেখানে সিবিআই কীভাবে মামলার তদন্ত করবে? এরপরই ভিন রাজ্যের পুলিশ কর্তাদের দিয়ে তদন্তের ইঙ্গিত দেন বিচারপতি।
২০২২ সালের ২১ মার্চ। বীরভূমের রামপুরহাটের ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে রামপুরহাট বগটুই মোড়ে বোমা মেরে খুন করা হয় রামপুরহাটের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান ভাদু শেখকে। সেই খুনের বদলা নিতে বগটুই গ্রামে ১০ টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরদিন সকালে আটজনের পোড়া দেহ উদ্ধার হয়। দিন কয়েক পর রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আরও এক মহিলার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ কয়েকদিন পর ঘটনার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত আনারুল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ওই গণহত্যার অভিযোগে ঘটনার ন'মাস পর ঝাড়খণ্ড থেকে লালন শেখকে গ্রেফতার করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে থাকাকালীনই মৃত্যু হয় লালনের। নিহতের স্ত্রীর দাবি, খুন করা হয় লালনকে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নেমে সিবিআইয়ের সাত তদন্তকারী আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে রাজ্য পুলিশ। ওই মামলার শুনানিতেই সোমবার রাজ্য সরকার, রাজ্য পুলিশ এবং সিবিআইকে নোটিস পাঠাচ্ছে আদালত।