বিচারের দাবিতে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা।
শেষ আপডেট: 10th September 2024 16:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সিবিআই তদন্তভার গ্রহণের পর ২৯ দিন পার! আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রী ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সঞ্জয় রায় ছাড়া দ্বিতীয় কাউকে এখনও হেফাজতে নিতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এমনকী দুর্নীতির অভিযোগে ধৃত আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ চারজনকে এদিন আলিপুর আদালতে হাজির করানো হলেও সিবিআইয়ের তরফে হেফাজতে চাওয়া হয়নি। বিষয়টি শোনা মাত্র স্বাস্থ্যভবনের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন আন্দোলনকারীরা।
মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার জন্য গতকাল অর্থাৎ সোমবার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিমকোর্ট। তারপরই একাধিক দাবিতে স্বাস্থ্যভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। এদিন স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ থেকে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুললেন তাঁরা।
আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কথায়, "হাসপাতালে কোনও রোগী ভর্তি হলে আমরা চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি রোগীর বাড়ির লোককেও প্রতি মুহুর্তে ঘটনার আপডেট দিয়ে থাকি। এক্ষেত্রে সিবিআই তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে কিছু জানায়নি। তাহলে কোন ভরসায় বিচার না পেয়ে আমরা আন্দোলন থেকে সরে যাব?"
এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর শিয়ালদহ কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানির দিন নির্ধারিত সময়ে এজলাসে পৌঁছননি সিবিআইয়ের আইনজীবী। যা দেখে ক্ষুব্ধ বিচারক এও বলেছিলেন, 'জামিন দিয়ে দেব?' এদিন সন্দীপ-সহ ধৃত চারজনকে সিবিআই হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়নি, বিষয়টি জানতে পারার পর তাঁদের বক্তব্য, "আইনের প্রতি আস্থা রেখেই বলছি, এক একটা দিন পেরিয়ে যাচ্ছে, অথচ তদন্তের হাল দেখে তো মনে হচ্ছে, আর পাঁচটা ঘটনার মতো এক্ষেত্রেও সেই দীর্ঘসূত্রিতার পথে হাঁটা হচ্ছে।"
যদিও সিবিআই সূত্রের দাবি, তদন্তের প্রয়োজনে পরে ফের অভিযুক্তদের হেফাজতে নেওয়া হবে।
বিচারের দাবিতে তবে কি এবার নিজাম প্যালেসও ঘেরাও করবেন আন্দোলনকারীরা? এ ব্যাপারে এখনই নিজেদের মত স্পষ্ট করতে চাননি আন্দোলনকারীরা। আপাতত, নিজেদের পাঁচ দফা দাবিতে তাঁরা স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থানে বসেছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই আন্দোলনকারীরা রাজ্যের কোর্টে বল ঠেলে পাঁচটি দাবির কথা জানিয়েছিল।
এগুলি হল: এক, ধর্ষণ-খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সমস্ত দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করে কঠোরশাস্তির ব্যবস্থা, অপরাধের উদ্দেশ্য সামনে আনা। দুই, তথ্যপ্রমাণ লোপাটের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িতদের চিহ্নিত করা। তিন, কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলের ইস্তফা। চার, হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা এবং পাঁচ, রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভয়মুক্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশ সুনিশ্চিত করা। এদিন তার সঙ্গে স্বাস্থ্য কর্তাদের পদত্যাগের দাবিও জুড়েছেন আন্দোলনকারীরা।