শেষ আপডেট: 4th September 2023 09:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এজেন্সির ভয়ে ব্যবসায়ীরা যাতে বাংলায় বিনিয়োগ থেকে পিছিয়ে না যান সেজন্য তাঁদের বরাভয় দেওয়ার চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee to Industrialist)। সোমবার ধনধান্য স্টেডিয়ামে ক্রেডাই বেঙ্গলের তরফে রিয়েল এস্টেট সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠীর সামনে মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) কেন্দ্রীয় এজেন্সির অতি সক্রিয়তার প্রসঙ্গটি টেনে আনেন।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “আমি জানি আপনাদের উপর অনেক চাপ আছে। আপনাদের অনেককে এজেন্সি দিয়ে হেনস্থা করা হয়। আবারও হয়তো করা হবে। আমার পরিবারকেও হেনস্থা করা হচ্ছে। তা বলে কাজ বন্ধ করে দেব নাকি? তার মধ্যেও এগোতে হবে। আপনাদের ভয় পেলে চলবে না, সরকার সবরকম ভাবে আপনাদের পাশে আছে।”
মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুরের শ্রমিকদের একটা বড় অংশকে কাজের সন্ধানে বাইরে চলে যেতে হয়। মুখ্যমন্ত্রীর (Chief Minister) কথায়, “এরা দারুণ কাজ করে। তাই ওদের অনেকেই বাইরে নিয়ে চলে যায় টাকার লোভে। আমি চাই বাংলায় ওদের জন্য কাজের সুযোগ তৈরি হোক। আপনারা এখানে লজিস্টিক হাব, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্লাস্টার থেকে মেডিক্যাল কলেজ সবই করতে পারবেন।”
নির্মাণ ব্যবসায় গত দু’বছরে বাংলায় ৪০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিগত ১২ বছরে অভূতর্পূর্ব সাফল্য এসেছে রিয়েল এস্টেট বাণিজ্যে। দিল্লি, বেঙ্গালুরু, মু্ম্বইয়ের চেয়ে কলকাতায় রিয়েল এস্টেটের দাম অনেক বেড়েছে।”
কলকাতা (Kolkata) তো বটেই জেলাস্তরেও বাড়ছে ফ্ল্যাট-কালচার। এক্ষেত্রে কিছু ঠিকাদার মানুষের সঙ্গে দু’নম্বরি করেন বলে এদিন অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে নির্মাণ সংস্থার কর্তাদের সতর্ক করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “একটা মানুষ কত কষ্ট করে টাকা রোজগার করে। সেই টাকা নিয়ে কেউ পালিয়ে যাবে, এটা তো হতে পারে না। সেফটি এবং সিকিউরিটির দিকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে। ব্ল্যাক লিস্টেড ঠিকাদারদের তালিকাও আপনাদের কাছে পাঠিয়ে দেব।” এক্ষেত্রে সরাসরি কলকাতা পুলিশ কিংবা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও তাঁরা যোগাযোগ করতে পারেন বলে মমতা জানান।
সাম্প্রদায়িক হিংসার পরিবেশ নিয়ে এদিনের সম্মেলনে নির্মাণ সংস্থার একাংশ কর্তা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, মিডিয়ার একাংশ এবং রাজ্যের কিছু রাজনৈতিক দল বাংলার বদনাম করার চেষ্টা করছে। তবে বাংলায় কোনও সাম্প্রদায়িক বিভেদের পরিবেশ নেই। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “আমাদের এখানে বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচুর মানুষ আসেন। কেউ রাজস্থান, কেউ উত্তরপ্রদেশ, কেউ গুজরাট, পাঞ্জাব, বিহার থেকেও এসেছেন। এখানে ব্যবসা করছেন। কিন্তু কেউ বলতে পারবেন না এখানে কাউকে কোনও সমস্যায় পড়তে হয়েছে। বাংলা সবেতেই এক নম্বরে।”