শেষ আপডেট: 17th December 2023 17:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শুধুমাত্র সপ্তাহান্তেই বউয়ের সঙ্গে দেখা হয়। বাকি দিনগুলিতে বাপের বাড়িতে থাকেন স্ত্রী। তাই আর পাঁচজনের মতো দাম্পত্য জীবন চেয়ে স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন স্বামী। পাল্টা গুজরাত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কর্মরত ওই তরুণী। আদালতে প্রশ্ন তুলেছেন, মাসে দু'টো সপ্তাহের শনি ও রবিবার স্বামীর সঙ্গে তিনি সময় কাটাতে পারেন। এতে কি তাঁর দাম্পত্য জীবনের কর্তব্য পালন হচ্ছে না?
গত বছর তরুণীকে তাঁর স্বামী আইনি নোটিস দিয়েছিলেন। সুরাতের একটি পারিবারিক কোর্টে হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্টের ৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী ওই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। তরুণীর স্বামীর দাবি, দাম্পত্য জীবনের কর্তব্য পালন করেন না তাঁর স্ত্রী। প্রতিদিন তাঁরা একসঙ্গে থাকেন না। ছেলের জন্মের পর থেকেই কাজের জন্য স্ত্রী বাপের বাড়িতে থাকেন। শুধুমাত্র ছুটির দিনেই স্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়। কেন শুধু সপ্তাহান্তেই স্ত্রী তাঁর কাছে আসবেন, এই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট মামলার প্রেক্ষিতে পালটা জবাব দেন তরুণীও। স্বামীর দায়ের করা মামলায় কোনও যুক্তি নেই বলে দাবি করেন তিনি। লিখিত প্রতিক্রিয়ায় তরুণী জানান, কর্মসূত্রে তাঁকে বাপের বাড়িতে থাকতে হয়। তবে মাসের দু'টি সপ্তাহান্তে তিনি স্বামীর সঙ্গে থাকেন। যদিও গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্ত্রীর যুক্তি খারিজ করে স্বামীর পক্ষেই রায় দেয় পরিবার আদালত। এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তরুণী। স্ত্রীর আইনজীবী উচ্চ আদালতে দাবি করেন, হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্টের ৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী, প্রতি মাসের দু'টি উইকএন্ডে তাঁর মক্কেল স্বামীর সঙ্গে থাকেন। সামাজিকভাবেও তাঁরা পতি-পত্নী পরিচয়েই রয়েছেন। স্ত্রী হিসাবে সমস্ত দায়িত্ব-কর্তব্য পালনও করেন। তাই তাঁর মক্কেলের স্বামীর আনা অভিযোগের যৌক্তিকতা নেই।
মামলাটির শুনানিতে বিচারপতি ভিডি নানাবতী প্রশ্ন তোলেন, “স্বামী যদি স্ত্রীকে একসঙ্গে এসে থাকার এবং সংসার করার কথা বলেন, তাহলে সেখানে ভুল কোথায়?” একইসঙ্গে মামলাটি ‘স্পর্শকাতর’ এবং এতে আরও বিচার-বিবেচনার প্রয়োজন বলেও জানিয়েছে গুজরাত হাইকোর্ট। আগামী বছর ২৫ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।