শেষ আপডেট: 12th September 2024 14:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো, মুর্শিদাবাদ: চিকিৎসকরা যদি কোনওভাবে আক্রান্ত হন তাঁর দায় হুমায়ুন কবীরকে নিতে হবে। এ কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার আইএমএর বহরমপুর শাখা চিঠি দিল মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক,পুলিশ সুপার ও সিএমওএইচকে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও কাজে যোগ না দেওয়ায় জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে সরাসরি পথে নেমে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ডাক দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, "যেকোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। আরজি করের নির্যাতিতার দোষীদের কঠোরতম শাস্তি আমরাও চাই। আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে সিবিআই তদন্তও হচ্ছে। তা বলে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা দিনের পর দিন কর্মবিরতি পালন করে যাবেন, এ জিনিস আর বরদাস্ত করব না।"
এখানেই না থেমে হুমায়ুন এও বলেন, "ডাক্তাররা সরকারি ভাতা-বেতন নিচ্ছেন, মানুষকে পরিষেবা দেওয়া তাঁদের দায়িত্ব, সেই জায়গায় আমরা হাত দিলে তখন কী হবে? দিনের পর দিন পরিষেবা বন্ধ করলে প্রতিরোধের অধিকার আমাদেরও আছে, পাবলিক মরছে, তাহলে ডাক্তাররা সুরক্ষিত থাকবেন কেন? ডাক্তারদেরও ঘেরাওয়ের অধিকার সংবিধান আমাদের দিয়েছে।"
মঙ্গলবারই নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরজি কর প্রসঙ্গে বাকিদের কথা না বলার বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ এর আগেই চিকিৎসকদের বেতন, ভাতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। সে সময় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধমক খেয়ে ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষমা চেয়েছিলেন কাঞ্চন। এমন আবহে ফের হুমায়ুন জুনিয়র ডাক্তারদের তোপ দাগায় শোরগোল পড়ে।
ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে আইএমএর জেলা সদস্যরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে বহরমপুর জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে মিছিল করে আসেন আইএমএ বহরমপুর শাখার নেতা-কর্মীরা। সংগঠনের রাজ্য সহ সম্পাদক রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "গতকাল ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক চিকিৎসকদের হুমকি দিয়েছেন, তাঁর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও সিএমওএইচকে ডেপুটেশন জমা দিলাম। নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি আমরা। চিকিৎসকরা যদি কোনওভাবে আক্রান্ত হন তাঁর দায় হুমায়ুন কবীরকে নিতে হবে।"