শেষ আপডেট: 6th July 2024 10:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত মঙ্গলবার হাথরাসে স্বঘোষিত ধর্মগুরু ভোলে বাবা ওরফে সুজর পাল সিংয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে ‘সৎসঙ্গ' অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১২১ জনের। তারপর থেকেই বেপাত্তা ছিলেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু। অবশেষে ঘটনার চারদিন পর প্রকাশ্যে এল ভোলে বাবার ভিডিও-বার্তা।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া ২ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের ভিডিও বার্তায় সেদিনের ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ভোলেবাবা বলেছেন, "২ জুলাইয়ের ঘটনার জন্য আমি গভীর ভাবে ব্যথিত। প্রভু আমাদের এই কঠিন পরিস্থিতি পেরিয়ে যাওয়ার শক্তি দিন।"
সেদিনের ঘটনায় জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি অনেকের মধ্যে এখনও ভোলে বাবার প্রতি গভীর বিশ্বাস দেখা গিয়েছে। হাসপাতালের বেডে শুয়ে যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতেও অনেককে বলতে শোনা গিয়েছে, "ভোলে বাবা (সুজর পাল সিং) আছেন, উনিই আমাদের রক্ষা করবেন।"
এদিনের ভিডিও বার্তায় ভক্তদের উদ্দেশে ভোলে বাবার পরামর্শ, "প্রশাসনের উপর আস্থা রাখতে হবে। আমার বিশ্বাস, যাঁরা এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন, যাঁরা প্রকৃত দোষী, তাঁদের শাস্তি হবে।" তাঁর আইনজীবী এপি সিং মৃতদের পরিবার এবং আহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণের জন্য চেষ্টা করছেন বলেও জানিয়েছেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু।
#WATCH | Hathras Stampede Accident | Mainpuri, UP: In a video statement, Surajpal also known as 'Bhole Baba' says, "... I am deeply saddened after the incident of July 2. May God give us the strength to bear this pain. Please keep faith in the government and the administration. I… pic.twitter.com/7HSrK2WNEM
— ANI (@ANI) July 6, 2024
ঘটনার পরও এক বার্তায় ভোলেবাবা দাবি করেছিলেন, তাঁর দুর্নাম করার জন্য সমাজ বিরোধীরা এই কাজ করেছে। ঘটনার প্রকৃত তদন্তেরও দাবি জানিয়েছিলেন তিনি।
ঘটনার পরই সৎসঙ্গের আয়োজক কমিটির দুই মহিলা স্বেচ্ছাসেবক-সহ ছ'জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। শুক্রবার প্রধান অভিযুক্ত দেবপ্রকাশ মধুকরকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতকে শনিবার আদালতে হাজির করানো হবে বলে জানিয়েছেন হাথরাসের পুলিশ সুপার নিপুন আগরওয়াল। তদন্তের প্রয়োজনে ভোলে বাবাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
অন্যদিকে একটি ভিডিও বার্তায় ভোলে বাবার আইনজীবী এপি সিং বলেছেন, “আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে আমরা আগাম জামিনের জন্য আবেদন করব না কারণ আমরা কোনও ভুল করিনি। আমাদের অপরাধ কি? মধুকর একজন হার্টের রোগী। তা সত্ত্বেও হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থাতেই তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।"