দ্য ওয়াল ব্যুরো: চাইলে ভোটারদের টুপি পরাতে পারেন রাজনৈতিক দলের নেতারা! হবে না বিধিভঙ্গ। প্রখর তাপদাহের কারণেই ভোটারদের মাথার ‘সুরক্ষা’র কথা ভেবে এই ছাড় দেওয়ার কথা জানিয়েছে কমিশন।

আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে ভোট পর্ব। লোকসভা ভোটকে ঘিরে সমস্ত রাজনৈতিক দলই প্রচার অভিযানে ব্যস্ত। প্রখর তাপদাহের মাঝেও রাজনৈতিক দলের মিটিং মিছিলে কর্মীরা হাজির হচ্ছেন। তাঁদের সুরক্ষার জন্য কী কী সামগ্রী দেওয়া যেতে পারে, যা বিধিভঙ্গের আওতায় পড়বে না, তা নিয়ে কমিশনের কাছে প্রশ্ন রেখেছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তারই জবাবে কমিশনের তরফে একটি নতুন গাইড লাইন প্রকাশ করা হয়েছে।

কমিশনের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে,  জনসভা, মিটিং বা মিছিলে যোগ দেওয়া কর্মী-সমর্থক ও সম্ভাব্য ভোটারদের টুপি, মাস্ক রুমাল ও স্কার্ফের মতো সামগ্রী বিলি করা যেতে পারে। কিন্তু জামা ও শাড়ির মতো সামগ্রী কোনওভাবেই দেওয়া যাবে না। সেটা হলে তা বিধিভঙ্গের আওতায় পড়বে। 

শনিবারই আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছিল, এপ্রিল মাস থেকে দেশজুড়ে তীব্র তাপদাহ চলবে। মে মাসে এই গরম আরও বাড়তে পারে। এদিকে ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে ভোট। চলবে পুরো মে মাস। স্বাভাবিকভাবে ভোটারদের, বিশেষত ভোটের প্রচারে যাওয়া কর্মীদের সুরক্ষার জন্য কিছু সামগ্রী বিলিতে ছাড়ের দাবি জানানো হয়েছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে। তারই প্রেক্ষিতে কমিশনের এমন নির্দেশিকা বলে জানা যাচ্ছে।

তবে ভোটারদের জামা ও শাড়ির মতো সামগ্রী বিলি করলে কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছে কমিশন। এক্ষেত্রে বাতিল করা হতে পারে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থীপদও। 

কমিশনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, বিয়ে, জন্মদিন বা অন্য কোনও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলে সেখানে যোগদান ও উপহার দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ নেই। কিন্তু এক্ষেত্রে নিমন্ত্রণ রক্ষা করার ক্ষেত্রটিকে ভোট প্রচারের ক্ষেত্র হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না।

এবারের ভোটের তাৎপর্যপূর্ণভাবে মোট ২২টি এজেন্সি নজরদারি চালাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৪৫.৬৫ কোটি টাকার বিভিন্ন বেআইনি সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে কমিশন। যার মধ্যে অধিকাংশ জামা ও শাড়ির মতো বস্ত্রসামগ্রী বলে কমিশন সূত্রের খবর।