শেষ আপডেট: 16th December 2023 14:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভূমি রাজস্ব দফতরের একাংশ আধিকারিকের সঙ্গে জমি মাফিয়াদের আঁতাতের অভিযোগ উঠেছে। গোপন সূত্রে এখবর পেয়ে সম্প্রতি প্রশাসনিক সভা থেকে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পর এ ব্যাপারে জেলাশাসকদের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
তবে হুঁশিয়ারির পরও ‘সরকারি জমি চুরি’র প্রক্রিয়া এখনও চলছে বলে অভিযোগ। তারই তদন্তে শিলিগুড়ির মাটিগাড়া ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরে হাজির হলেন ভূমি দফতরের বিশেষ সচিব অভিজিৎ ভট্টাচার্য। খতিয়ে দেখেন দফতরের কাগজপত্র। নকশালবাড়ি ব্লকেও অভিযান চালানো হয়।
পরে সংবাদমাধ্যমকে দফতরের বিশেষ সচিব অভিজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, “দুটি ক্ষেত্রে জমির চরিত্র বদলের অভিযোগ এসেছিল। সেগুলি খতিয়ে দেখতেই এই অভিযান। কোথাও কোনও ধরনের গাফিলতি থাকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
১৩ ডিসেম্বর শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের সরকারি সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন “আমার কাছে খবর আছে, দু’একজন বিএলআরও (ব্লক ভূমি সংস্কার আধিকারিক) কিছু দুষ্টু লোকের সঙ্গে মিলে নানা রকম জমি কেনা বেচার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। আমি জমি দফতরের সচিবকে বলব, দ্রুত তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিন।”
এই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, “একজন অফিসার যদি জড়িত থাকে তাঁকেও আমি ছেড়ে কথা বলব না। একজনের জন্য সকলের বদনাম যেন না হয়। সকলে কিন্তু খারাপ নয়।”
মুখ্যমন্ত্রীর ওই হুঁশিয়ারির পরই জেলাশাসকদের থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিল নবান্ন। সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার জেলাশাসকদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে বসেছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেখানেই জেলাশাসকদের উদ্দে্শে বলা হয়, কিছু বিএলআরও সাধারণ মানুষের সঙ্গে জমি মাফিয়ার মতো আচরণ করছেন। তাঁরা জমি মাফিয়াদের সঙ্গে যোগ সূত্র রেখে কাজ করছেন বলে অভিযোগ আসছে।
এ ব্যাপারে জেলাশাসকদের তদন্ত করে দ্রুত রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব। জানা গেছে, জেলাশাসকদের রিপোর্টে বেশ কিছু বিএলআরও-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তা খতিয়ে দেখতেই এবা্র ব্লকে ব্লকে অভিযানে নেমেছেন দফতরের সচিবরা।
সম্প্রতি বিশ্ববাণিজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে কলকাতায়। সেখানে হাজির ছিলেন দেশ বিদেশের শিল্পপতিরা। ইতিমধ্যে রাজ্যে শিল্পস্থাপন করতে চেয়ে মৌ সাক্ষর করেছে একাধিক শিল্প সংস্থা। সূত্রের খবর, রাজ্যে শিল্প সম্ভাবনা তৈরি হওয়ার পরই নতুন করে জমির দালালি শুরু হতে পারে। তাই নবান্নের এই সক্রিয়তা বলে মনে করা হচ্ছে।