শেষ আপডেট: 24th July 2024 21:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রদীপের নীচেই অন্ধকার!
সাধারণ মানুষের কথা ছেড়েই দিন, রাজ্য বিধানসভার সদস্য যাঁরা সেই জনপ্রতিনিধিদের সিংহভাগই পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন নন বলে মনে করেন রাজ্যের বন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। বুধবার বিধানসভায় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আক্ষেপের সুরে একথা জানিয়েছেন বীরবাহা নিজেই।
বীরবাহার কথায়, "পরিবেশকে রক্ষা করার জন্য গত বছর সমস্ত বিধায়ককে ১ হাজার করে চারাগাছ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। তবে দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, অধিকাংশ বিধায়ক চারাগাছ নেননি। তাই এবারে আমরা ঠিক করেছি, যাঁরা নিতে চাইবেন কেবল তাঁদেরকেই আমরা চারাগাছ দেব। কারণ, আমার বিশ্বাস, যাঁরা নেবেন তাঁরা চারাগাছটাকে বাঁচাবেনও।"
তবে বিধায়কদের সিংহভাগ চারাগাছ লাগানোর বিষয়ে উদাসীন হলে কী হবে, রাজ্যের বনাঞ্চল আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। বীরবাহার দাবি, আগের চেয়ে ২১ শতাংশ বনাঞ্চল বৃদ্ধি হয়েছে। পরিবেশ দূষণ থেকে সমাজকে রক্ষা করতে হলে আরও বেশি করে জঙ্গল বাড়াতে হবে।
এবিষয়ে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি স্কুল, কলেজ এবং বিভিন্ন সমাজসেবী সংস্থাকে আহ্বান জানানো হয়েছে। বীরবাহার কথায়, "পরিবেশ দূষণ থেকে বাঁচতে হলে গাছ লাগাতে হবে। গাছ বাঁচলে আমরা বাঁচব। কিন্তু বিধায়কদের অনেককে আমরা বোঝাতে পারিনি।"
প্রসঙ্গ, পরিবেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন সারা বিশ্ব। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্টের ফলেই আবহাওয়ার তারতম্যও ঘটছে। তাই পরিবেশকে সুরক্ষিত রাখার দাবি উঠছে সমাজের বিভিন্নস্তর থেকে। তবে বনমন্ত্রীর বক্তব্যে যেভাবে পরিবেশ নিয়ে বিধায়কদের উদাসীনতা সামনে এসেছে তাতে শোরগোল তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
একই সঙ্গে বীরবাহা জানান, এই মুহূরর্তে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১০ সালে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ৭৪টি, বর্তমানে ১০১টি, আর বক্সাতে ১টি। রাজ্যে মোট বাঘের সংখ্যা এই মুহূর্তে ১০২টি।