Advertisement
Advertisement
শেষ আপডেট: 4 April 2024 08:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কর্মীসঙ্কটের জেরে মঙ্গলবারও ৩৮টি বিমান বাতিল করেছে ভিস্তারা। এই নিয়ে গত দু’দিনে নয় নয় করেও ৯০টি বিমান বাতিল হয়েছে। এর ফলে সারা দেশেই সমস্যায় পড়তে হয়েছে যাত্রীদের। বেতনের পরিবর্তিত কাঠামো নিয়ে ক্ষোভ জমছিল দীর্ঘদিন ধরেই। সেই নিয়ে এবার সঙ্কটের মুখে টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন ভিস্তারা বিমান পরিবহণ সংস্থা। কর্মীরা আগেই বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। তাতে কাজ না হওয়ায় অসুস্থতার দোহাই নিয়ে কার্যত গণছুটি নিয়েছেন পাইলটরা। এদিকে কাজে আসছেন না বিমানকর্মীরাও। ফলে রীতিমতো ভরাডুবি হয়েছে।
মুম্বই থেকে ১৫টি, দিল্লি থেকে ১২টি এবং বেঙ্গালুরু থেকে ১১টি বিমান বাতিল হয়েছে। পাইলট না থাকায় বিমান বাতিল করতে হয়েছে বলে জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে। সোমবারও ৫০টি বিমান বাতিল হয়, সময়সূচির পরিবর্তন হয় ১৬০টি বিমানের। বেশ কয়েক ঘণ্টা বিমানবন্দরে অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের।
ভিস্তারার তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “কর্মীর অভাব-সহ একাধিক কারণে গত কয়েক দিন ধরে যথেষ্ট সংখ্যক বিমান বাতিল থাকছে এবং বিমান অবতরণ এবং ছাড়ার ক্ষেত্রে দেরি হচ্ছে।” খুব তাড়াতাড়ি পরিষেবা স্বাভাবিক হবে বলে আশ্বাসও দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে লাভ বিশেষ কিছুই হয়নি। বরং কর্মী সঙ্কটের জেরে প্রায় প্রতিদিনই গুচ্ছেন বিমান বাতিল হচ্ছে।
এর মধ্যেই ভিস্তারার বিমান বাতিল নিয়ে সংস্থাটির কাছে সবিস্তার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্র। জানা গেছে, অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে কর্মী সঙ্কটের কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে। বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এ নিয়ে ভিস্তারার কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন। কেন এত বিমান বাতিল করতে হচ্ছে, এত টাকা দিয়ে টিকিট কিনেও কেন হেনস্থা হতে হচ্ছে যাত্রীদের, তার কারণ জানতে চেয়েছেন তিনি। জানা গেছে, সংস্থার তরফে সব পাইলটদের একটি মেল পাঠিয়ে দ্রুত নতুন বেতন কাঠামোয় সই করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় কড়া পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। আর তাতেই বেঁকে বসেন পাইলটদের একাংশ।
শোনা যাচ্ছে, টাটার মালিকানাধীন এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে শীঘ্রই 'মার্জ' করে যাবে ভিস্তারা। এই আবহে গত মাসেও এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল সংস্থাটি। এপ্রিলের শুরুতেও সেই একই সমস্যা হচ্ছে। ভিস্তারার তরফে জানানো হয়েছে, যতদিন না সমস্যার সমাধান হচ্ছে, ততদিন বিমানের সংখ্যা কমানো হবে।
Advertisement
Advertisement