শেষ আপডেট: 16th June 2024 21:43
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ডিভোর্সের পর থেকে ছেলের সঙ্গেও কোনও যোগাযোগ নেই, শিখর ধাওয়ানের। আজ, রবিবার, ফাদার্স ডে উপলক্ষে ইনস্টাগ্রামে একটি আবেগঘন পোস্ট লিখে এই কথাই জানালেন ভারতীয় ক্রিকেটার। সেই সঙ্গে উইশ করলেন তাঁর নিজের বাবাকে। এদিন তিনি ছেলে ও বাবার সঙ্গে একটি ছবিও পোস্ট করেন সেই লেখার সঙ্গে।
View this post on Instagram
গত বছর অক্টোবর মাসে স্ত্রী আয়েশা মুখার্জীর সঙ্গে শিখরের ডিভোর্স মঞ্জুর হয়েছিল দিল্লির একটি আদালতে। এর পরে ছেলে জোরাভারকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় চলে যান আয়েশা। তবে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া দু'দেশেই ছেলের সঙ্গে দেখা করতে দিতে হবে বাবা শিখরকে। দরকারে ছেলেকে নিয়ে ভারতে আসতে হবে আয়েশাকে, এমন কথাও জানিয়েছিল আদালত।
তবে বাস্তবে এমনটা হয়নি বলেই অভিযোগ ক্রিকেটারের। শিখর ধাওয়ান অবশ্য সরাসরি কখনওই আয়েশার বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি এসব নিয়ে, কিন্তু ঘনিষ্ঠ সূত্রে শোনা যায়, আয়েশা একেবারেই শিখরকে দেখা করতে দেন না ১০ বছরের ছেলে জোরাভারের সঙ্গে।
ডিভোর্সের পরে শিখর ধাওয়ান তাঁর ছেলের সঙ্গে ভিডিও কলের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সে ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছিলেন গুলজারের কবিতার দু'টি লাইন-- 'এক আজিব সি বেতাবি হ্যায় তেরে বিন, রেহ ভি লেতে হ্যায় অর রাহা ভি নাহি যাতা।'
একটি পডকাস্টেও শিখরকে বলতে শোনা গেছিল, 'ও যেখানেই থাকুক না কেন, খুশি থাকুক। আশা করি একদিন ও এসে আমার সঙ্গে দেখা করবে। আমি ওকে খুব ভালবাসি, কিন্তু একই সঙ্গে, আমি তো ওর থেকে বিচ্ছিন্ন। এই নিয়ে আমি ওকে কোনও চাপ দিতে চাই না। আমি ওর জন্য প্রতিদিন একটা করে মেসেজ লিখি, জানি না ও সেগুলো পায় কিনা, পড়ে কিনা। আমার কোনও প্রত্যাশা নেই। আমি এটা মেনে নিয়েছি। আমি একজন বাবা এবং আমি আমার সেই দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করছি। আমি ওকে খুব মিস করি, আমি খুবই কষ্ট পাই, কিন্তু আমি এটা নিয়েই বাঁচতে শিখে গেছি।'
তিনি আরও বলেন, 'আমি যখন ছেলের সঙ্গে দেখা করতে অস্ট্রেলিয়া যেতাম, তখন ওর সঙ্গে মাত্র দু'বার দেখা করার অনুমতি পেয়েছিলাম, তাও মাত্র দু-তিন ঘণ্টার জন্য। আমি চাই, ছেলে আর একটু আমার কাছে থাকুক, আমি ওকে হাগ করতে চাই।'
গত ডিসেম্বরেও এই একই যন্ত্রণার কথা প্রকাশ করেছিলেন শিখর। বলেছিলেন, ছেলের জন্মদিনে সরাসরি শুভেচ্ছাটুকুও জানাতে পারেননি। প্রাক্তন স্ত্রী আয়েশা নাকি তাঁকে সব জায়গা থেকেই তাকে ব্লক করে রেখেছেন।
শোনা যায় শিখর বাচ্চাদের খুবই ভালবাসেন। সেই কারণেই ২০১২ সালে আয়েশাকে বিয়ে করার পরে, আয়েশার আগের পক্ষের দুই কন্যাসন্তানকেও দত্তক নিয়েছিলেন শিখর। নিজের ছেলের পাশাপাশি তাদেরও আদর-যত্ন দিয়ে বড় করতে চেয়েছিলেন। তবে কার্যক্ষেত্রে তেমনটা হয়ে ওঠেনি শেষমেশ। শিখর ধাওয়ানের উপর তিনি মানসিক অত্যাচার করতেন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের বিরুদ্ধে আয়েশা নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেননি, ফলে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের। এর পরে তিন সন্তানকে নিয়েই আলাদা হয়ে গেছেন আয়েশা, চলে গেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। তবে শিখরের বিশ্বাস, তাঁর নিজের ছেলে একদিন তাঁর কাছে ফিরবেই।