শেষ আপডেট: 6 February 2024 10:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো, দক্ষিণ ২৪ পরগনার: নরেন্দ্রপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের মৃত্যু রহস্যে নয়া মোড়। রবিবার নরেন্দ্রপুরের একটি পুকুর থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র অপ্রতিম দাসের দেহ উদ্ধার হয়।
সোমবার ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পর পুলিশের অনুমান, জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে নরেন্দ্রপুরের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওই ছাত্রের।
পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত ছাত্রের লিভারে মদের নমুনা পাওয়া গেছে। তিনি মত্ত অবস্থায় জলে পড়ে গিয়েছিলেন নাকি কেউ তাঁকে ওই জলাশয়ে ঠেলে ফেলে দিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশের এক কর্তা বলেন, "এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। তদন্তে সম্ভাব্য সবদিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অপ্রতিম গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। নিখোঁজ হাওয়ার আগে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে তিনি অনুষ্ঠান বাড়িতে গিয়েছিলেন। খাওয়া দাওয়া চলার সময়ে 'কাজ আছে' বলে সেখানে থেকে বেরিয়ে যান অপ্রতিম। বাড়ি ফিরে অপ্রতিমকে খুঁজে না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন ছাত্রের মা। খোঁজাখুঁজি করেও তিনি ছেলের হদিশ পাননি। থানার দ্বারস্থ হন তাঁরা। রবিবার পুকুর থেকে ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়। তখনই পরিবার দাবি করেছিল, অপ্রতিমকে খুন করা হয়েছে।
সোমবার এই ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। ছাত্রের দিদিমা ও মাসির অভিযোগ, অপ্রতিমের মৃত্যুর জন্য তাঁর বাবা দায়ী। যদিও ছাত্রের মায়ের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছেন তাঁর ঠাকুরদা। তাঁর দাবি, অপ্রতিমের মায়ের কললিস্ট খুঁজলেই নাতির মৃত্যুর রহস্যভেদ হবে।
বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে পরিজনদের আনা খুনের অভিযোগের মাঝেই এবার ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে পেল পুলিশ।