শেষ আপডেট: 7th March 2020 08:42
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: ১২ বছর ধরে মামলা চলার পর ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় দোষীকে ফাঁসির সাজা দিল শ্রীরামপুর আদালত। ২০০৮ সালে খুন হয়েছিলেন উত্তরপাড়ার ব্যবসায়ী শৈলেন্দ্রনাথ শর্মা। তাঁকে খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য তাঁর বস্তাবন্দি দেহ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতর। সেই ঘটনায় শনিবার তপন বাগ নামে এক যুবককে ফাঁসির সাজা দেন শ্রীরামপুর আদালতের বিচারক। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে ওই যুবকের বাবা নিরঞ্জন বাগ ও মা সন্ধ্যা বাগকে। সরকারি আইনজীবী মহম্মদ মুশা মল্লিক জানান, উত্তরপাড়ায় একটি ছোট কারখানা ছিল শৈলেন্দ্রনাথ শর্মার। ওই কারখানাটি লিজ নেওয়ার চেষ্টা করেছিল চণ্ডীতলার গোবরা এলাকার বাসিন্দা তপন বাগ। তাতে রাজিও হয়েছিলেন শৈলেন্দ্রনাথ। এরপরেই টাকা পয়সার লেনদেনের জন্য ওই ব্যক্তিকে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠিয়েছিল তপন। বাড়িতে পৌঁছতেই ধারাল অস্ত্র নিয়ে তপন চড়াও হয়েছিল ওই ব্যক্তির উপর। তাঁর দেহ একাধিক টুকরো করে একটি বস্তায় ভরে পাশের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেয়। দুয়েক দিন পর থেকে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়ালে সজাগ হন আশেপাশের লোকজন। পরে ওই বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় শৈলেন্দ্রনাথের দেহ। ইতিমধ্যে স্বামী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় থানায় ডায়েরি করেন উত্তরপাড়ার বাসিন্দা ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী। স্বামীর দেহ সনাক্ত করেন তিনি। খুনের তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। গ্রেফতার করা হয় তপন বাগকে। খুন ও দেহ লোপাটে ছেলেকে সাহায্য করার জন্য গ্রেফতার করা হয় তপনের বাবা–মাকেও। ১২ বছর মামলা চলার পর মূল দোষী তপনকে ফাঁসির সাজা দিলেন শ্রীরামপুর আদালতের বিচারক। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছে তপনের বাবা মা। গত ২৭ শে জানুয়ারি বলাগড়ের স্কুলছাত্রীকে খুনের পর ধর্ষণের বিরলতম অপরাধে দুই জনের ফাঁসির সাজা দিয়েছিল চু্ঁচুড়া আদালত। আজ ফাঁসির সাজা দেওয়া হল শ্রীরামপুর আদালতে।