শেষ আপডেট: 20th July 2024 17:00
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: নাবালিকা ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের দায়ে ২০ বছরের জেল হল শ্রীরামপুর কলেজের এক অধ্যাপকের। পকসো মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় অধ্যাপক প্রতাপ দিগলকে। বিচার পেয়ে খুশি নির্যাতিতা। অভিযুক্তের আইনজীবীর দাবি, মিথ্যা ফাঁসানো হয়েছে তাঁকে।
শ্রীরামপুর কলেজের থিওলজিকাল বিভাগের প্রধান ছিলেন প্রতাপ দিগল। তিনি উড়িষ্যার বেরহামপুরে বাসিন্দা। কলেজের স্টাফ কোয়ার্টার ম্যাক হাউসে থাকতেন। ২০২২ সালের মার্চ মাসে সেখানেই নাবালিকা এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এরপরেই শ্রীরামপুর মহিলা থানার পুলিশ গ্রেফতার করে ওই নাবালিকাকে। পকসো আইনে শুরু হয় মামলা।
প্রতাপ দিগল বিচারাধীন বন্দি থাকা অবস্থায় মামলার চার্জশিট হয় এবং বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। শুনানির পর শুক্রবার
শ্রীরামপুর আদালতের প্রথম অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট পকসো কোর্টের বিচারক মনোজকুমার রাই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন। শনিবার ২০ বছরের সাজা দেওয়া হল তাঁকে।
সরকারি আইনজীবী জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, "ওই অধ্যাপক একটি এনজিও তৈরি করেছিলেন। ম্যাক হাউসে দুঃস্থ মেয়েদের রেখে পড়াশোনা শেখাতেন। নির্যাতিতা ওই নাবালিকা ২০২২ সালের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে ম্যাক হাউসে গিয়েছিল। কয়েকদিন সেখানে থাকার পরেই তার উপর যৌন নির্যাতন শুরু হয়। আদালত অভিযুক্তকে ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং মোট ষাট হাজার টাকা জরিমানা করে। অনাদায়ে আরও সাত মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়।
নির্যাতিতাকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিস অথরিটিকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।একজন শিক্ষক ছাত্রীর সঙ্গে যে আচরণ করেছে তা যেন আর কেউ না করে তারজন্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েছে আদালত।"
এই রায়ে খুশি নির্যাতিতা। তিনি বলেন, "এই দিনটার জন্য আড়াই বছর ধরে অপেক্ষা করেছি। পড়ানোর জন্য নিয়ে এসে আমার যে ক্ষতি করেছে তা যেন আর কারও না হয়।"
তবে অভিযুক্তের আইনজীবী অরুণ আগরওয়াল জানান, মিথ্যে সাজানো মামলা। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করবেন তাঁরা।