শেষ আপডেট: 4th July 2024 15:38
দ্য ওয়াল ব্য়ুরো: শুক্র, শনি, রবি- গত সপ্তাহে গণপিটুনির ঘটনায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের। সাম্প্রতিক অতীতে ছেলেধরা গুজবে আক্রান্ত হয়েছেন আরও একাধিক জন। কলকাতা থেকে জেলা, বাড়তে থাকা গণপিটুনির প্রবণতা ঠেকাতে কড়া হুঁশিয়ারি জারি করেছে নবান্নও।
এমন পরিস্থিতিতে গণপিটুনি নিয়ে মন্তব্য করে বুধবার বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। বৃহস্পতিবার সেই একই পথে হাঁটলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা সৌগত রায়ও। এদিন গণপিটুনি প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে সৌগত বলেন, "বাংলায় হঠাৎ গণপিটুনি বেড়ে গেছে, এমনটা ঠিক নয়। এটা সারা দেশেই একটা সমস্যা। আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটত। এগুলো দুর্ভাগ্যজনক, কিন্তু ব্যতিক্রমী নয়।”
প্রসঙ্গত, গণপিটুনির ঘটনার মোকাবিলায় বুধবারও রাজ্য পুলিশের তরফে কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তারই মাঝে দমদমের সাংসদের মন্তব্য নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্কও। ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসনের ব্যর্থতাকে ছোট করে দেখাতে এই মন্তব্য করেছেন সৌগত।
এর আগে বুধবার গণপিটুনি নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। সিপিএম জমানায় বিজন সেতুর উপর ১৭ জন আনন্দমার্গী সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনীকে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল। ওই প্রসঙ্গ টেনে কুণালের দাবি, “সত্যিকারের গণপিটুনি হয়েছিল সিপিএম আমলে। এখন গণপিটুনি বাড়ছে, এই ধরনের কথা একদমই ঠিক নয়। কোথাও মারপিট হলেও গণপিটুনি দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।"
বুধবার রাজ্য পুলিশের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় অবশ্য গণপিটুনির প্রসঙ্গে প্রতিটি থানার পুলিশ কর্মী তো বটেই সিভিক ভলান্টিয়ার এবং ভিলেজ পুলিশকেও বাড়তি নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, কোথাও এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।