শেষ আপডেট: 27th June 2023 02:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শিশুদের পর্ন সাইটের ব্যবসা ফেঁদে বসেছিলেন ভারতীয় চিকিৎসক। ডার্ক ওয়েবে রমরম করে চলত শিশুদের পর্ন সাইট। আপত্তিকর ছবি, ভিডিও আপলোড করা হত সেখানে। শিশুদের যৌন হেনস্থার আপত্তিকর ছবিও ঘুরত সেই সাইটে। জানতে পেরেই কড়া ব্যবস্থা নিল ব্রিটেন সরকার। ৬ বছরের জেল হয়েছে সেই চিকিৎসকের।
অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম কবির গর্গ। বয়স ৩৩। কবিরকে তাঁর লিউইসহ্যামের বাড়ি থেকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে ব্রিটেনের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি। তদন্তকারীরা বলেছেন, কবিরের ল্যাপটপ ঘেঁটে ওই পর্ন সাইটের খোঁজ মেলে। সেই সাইটের নাম 'দ্য অ্যানেক্স'। সেখানে লগ ইন করে চোখ কপালে ওঠে তদন্তকারীদের। অন্তত ৭ হাজার অশ্লীল ছবি ও ভিডিও আপলোড করা হয়েছিল সেই ওয়েবসাইটে। সবই চাইল্ড পর্নের। সেইসব ছবি ও ভিডিও শেয়ারও করা হত নিয়মিত।
জানুয়ারি মাসেই কবিরের বিরুদ্ধে শিশুদের যৌন হেনস্থা সংক্রান্ত ৮টি অপরাধের মামলা হয়। ব্রিটেনের আদালতে তদন্তকারীরা জানিয়েছিলেন, নিজের ওয়েবসাইট চালান কবির। সেখানে চাইল্ড পর্ন নিয়ে আলোচনাও হয়। তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু গ্রুপের অ্যাডমিনও ছিলেন চিকিৎসক। সেখানেও ওইসব অশ্লীল ছবি ও ভিডিও নিয়মিত শেয়ার করা হত। বিশ্বজুড়ে ৯০ হাজার সদস্যও ছিল ওই ওয়েবসাইটের। মোটা টাকা দিয়ে ওই ওয়েবসাইটের চাইল্ড পর্ন দেখাও হত নিয়মিত।
মনোরোগের চিকিৎসক হিসাবে শিশুদের মনস্তত্ত্ব এবং যৌন হেনস্থা সংক্রান্ত বহু তথ্য, নথি এবং প্রতিবেদন জোগাড় করেছিলেন কবির। তাঁর কাছ থেকে এ সংক্রান্ত একটি বইও উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। বইটির নাম, ‘এ স্টাডি অন চাইল্ড অ্যাবিউজ ইন ইন্ডিয়া।’
ভারতেও শিশুদের উপর যৌন নিপীড়ণ, অত্যাচার, ধর্ষণের ছবি, ভিডিও তথা ‘চাইল্ড সেক্সুয়াল অ্যাবিউজ মেটিরিয়াল’ (সিএসএএম) অনলাইনে আপলোড করা এবং শিশুদের নিয়ে নীল ছবি বানানোর বড়সড় চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলেই সতর্ক করা হয়েছিল। এর আগেও শিশু পর্নোগ্রাফি চক্রের ৫৮ জনকে গ্রেফতার করেছিল কেরল পুলিশের স্পেশাল টিম। পুলিশ জানিয়েছিল সে চক্রের যোগ ছিল আন্তর্জাতিক স্তরে।
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর একটি সমীক্ষা বলেছিল, প্রতিদিন ১০৯ জন শিশু যৌন হেনস্থার শিকার হয় এদেশে। তাদের পরিসংখ্যাণ দেখে শিউরে উঠেছিল দেশ। তথ্যের রিপোর্ট বলেছিল, ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই ১০ বছরে শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা প্রায় ৬ গুণ বেড়েছে। চাইল্ড পর্নোগ্রাফির ক্ষেত্রেও ২০১৮ সালের পরিসংখ্যাণ আঁতকে ওঠার মত। ৭৮১টি এই ধরণের মামলা রুজু হয়েছিল পকসো আইনে। তারপর থেকে ক্রমান্বয়ে এই সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শিশু যৌন হেনস্থা,যৌন নিপীড়নের অনেক ছবিই ভাইরাল হয়ে ডার্ক ওয়েবে চলে যাচ্ছে। আর সেখান থেকেই চাইল্ড পর্নের চক্র চালাচ্ছে কিছু ব্যবসায়ী।
দশ দিন ধরে নাতির পচাগলা দেহ আঁকড়ে বসেছিলেন ঠাকুমা! দুর্গন্ধের অভিযোগ পেয়ে উদ্ধার করল পুলিশ