ফাইল চিত্র
শেষ আপডেট: 5 April 2024 10:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন বা সিবিএসই-ক বারো ক্লাসের ইতিহাসের পাঠ থেকে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস সংক্রান্ত তিনটি অংশ বাদ দেওয়া হচ্ছে। সিলেবাস নিয়ামক সংস্থা ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশন্যাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং পাঠসূচিকে সময়োপযোগী করার কথা জানিয়ে ওই তিনটি অংশ বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই নয়া সিলেবাস কার্জকর হবে।
সিবিএসই-র দ্বাদশের ইতিহাস বইয়ের অষ্টম অধ্যায়ে স্বাধীনতা পরবর্তী রাজনৈতিক ঘটনাবলীর মধ্যে অযোধ্যার মন্দির-মসজিদ বিবাদ প্রসঙ্গ আছে। তাতে আরও যে চারটি বিষয় আছে সেগুলি হল, ১৯৮৯-এর পর থেকে কংগ্রেসের ক্ষমতা হ্রাস, ১৯৯০-এ মণ্ডল কমিশন চালু, ১৯৯১-এ আর্থিক সংস্কারের সূচনা এবং ওই বছরই শ্রীলঙ্কার এলটিটিই জঙ্গিদের হাতে রাজীব গান্ধীর হত্যাকাণ্ড।
অযোধ্যা প্রসঙ্গ আছে চারটি পাতায়। তাতে ১৯৮৬ সালে মসজিদের তালা খুলে দেওয়া, হিন্দু ও মুসলিমদের জমায়েত, বাবরি মসজিদ ভাঙা, উত্তর প্রদেশে বিজেপি সরকারের পতন ঘটানো, দেশব্যাপী দাঙ্গা এবং ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে বিতর্ক।
সেই বিবাদের অবসান হয় ২০১৯-এর ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের রায়ে। তাতে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিকে রামের জন্মস্থান বলে মেনে নিয়ে আদালত সেখানে রাম মন্দির তৈরির নির্দেশ দেয়। গত ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন রাম মন্দিরের উদ্বোধন করেছেন। এনসিইআরটি-র বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের রায় সব পক্ষ সাদরে গ্রহণ করেছে। বিবাদের নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছে বলেই সংঘাতের প্রসঙ্গ সিলেবাস থেকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এটা নির্দিষ্ট সময় অন্তর সিলেবাস বদলের অংশ।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট ওই রায়ে ১৯৯২-এর ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনাকে কলঙ্কজনক অধ্যায় আখ্যা দিয়ে ওই ঘটনার দ্রুত বিচার করে অভিযুক্তদের সাজা দেওয়ার কথা বলে। লখনউয়ের স্পেশ্যাল সিবিআই কোর্ট শুনানি শেষে অভিযুক্তদের নির্দোষ ঘোষণা করেছে। নিম্ন আদালতের বক্তব্য, সিবিআই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপরাধের উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দাখিল করতে পারেনি।
ওই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানীকে সম্প্রতি ভারত সরকার ‘ভারতরত্ন’ ঘোষণা করেছে। বাবরি ধ্বংসের দিন দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কংগ্রেসের নরসিংহ রাও। কেন্দ্রীয় সরকার প্রয়াত রাওকেও ‘মরণোত্তর ভারতরত্ন’ সম্মান দিয়েছে।