শেষ আপডেট: 7th April 2019 05:44
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আপনার এমন এক জিনিসের কথা বলুন তো, যা আপনার হলেও আপনি সবচেয়ে কম ব্যবহার করেন। পারলেন না তো, আপনার নাম। বাকিরা খুব বেশি ব্যবহার করেন, কিন্তু আপনি শুধু অফিশিয়াল কাগজপত্রে করেই হাঁপিয়ে পড়েন। যারা চরপেয়ে তাদেরও তো আপনি নাম দেন, আচ্ছা কখনো ভেবে দেখেছেন কি এরাও এদের নাম শুনে বুঝতে পারে। বিশেষত কুকুরদের এই সেনসিটিভিটির সঙ্গে আমরা অল্পবিস্তর সকলেই পরিচিত, কিন্তু জুলজুল চোখে যারা আপনার দুধের বাটি বা মাছের ব্যাগের দিকে চেয়ে থাকে তারাও যে কম সেনসিটিভ নয় তা জানেন কি! হ্যাঁ, আপনার পোষ্য বেড়ালটি তার নাম শুনে বুঝতে পারে সহজেই, যে তাকে ডাকা হচ্ছে। জাপানের সোফিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের করা একটা সমীক্ষা তো সে কথাই বলছে। সমীক্ষার সময়ে একসাথে তিনটি করে শব্দ বলা হয়েছে, দেখা গেছে বেড়ালরা তাদের নামের শব্দটিতে কান এবং মাথা নেড়ে সাড়া দিয়েছে।তবে বাকি শব্দগুলো শোনার সময়ে তারা নির্লিপ্ত থেকেছে। এই সমীক্ষার সময়ে মোট ৭৮ টি বেড়ালকে জাপানের “ক্যাট কাফে” এবং বিভিন্ন বাড়ি থেকে আনা হয়েছিল। ডঃ আসুকো সাইতো এই গবেষণার পরে জানিয়েছেন, “কুকুরদের স্পর্শকাতরতা বা তাদের বোধ নিয়ে অনেক গবেষণা হলেও বেড়ালদের নিয়ে তুলনামূলকভাবে কমই হয়। অথচ তারাও যথেষ্ট সাবলীল এ বিষয়ে। আসলে বেড়ালরা যে মানুষের দেওয়া ইঙ্গিতগুলো খুব সহজেই বুঝতে সক্ষম, সেটা আমরা অনেকেই জানি না।এর আগে অনেক গবেষণাতেই ডলফিন, কুকুর, তোতা পাখিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, তবে বেড়ালরাই উপেক্ষিত থেকে গেছে।” যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতামত, নিশ্চিতভাবে এই গবেষণার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডঃ জন ব্র্যাডশ কুকুর বেড়ালের আচরণ নিয়ে গবেষণা করেন। তিনি বলছেন, “আমার মনে হয়নি এই সমীক্ষা মানুষ এবং বেড়ালের সম্পর্ক নিয়ে খুব একটা কিছু বলতে পেরেছ, হতে পারে বেড়ালরা কিছু নির্দিষ্ট শব্দ বুঝতে পারে, আর সেটা তার মালিক জানে, তাই সেই শব্দটা করলে সহজেই সেই বেড়ালটা তাতে সাড়া দেবে।” তিনি তাঁর যুক্তির সপক্ষে বলছেন, “অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বেড়ালের মালিক বেড়ালকে ঘরে ডাকার জন্য বেড়ালটির খাবারের কৌটোর আওয়াজ করছে, তাতে সহজেই বেড়াল ঘরে চলে আসছে। তাই এতে বেড়ালের আলাদা করে তার নাম শুনে ঘরে চলে আসার তত্ত্ব খুব একটা খাটে না”