Advertisement
Advertisement
শেষ আপডেট: 12 December 2023 13:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প থেকে শুরু করে চাকরি, বহু জায়গাতেই কাজে লাগে জাতিগত শংসাপত্র। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের মাধ্যমে রাজ্যের তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি এবং অনগ্রসর শ্রেণির মানুষকে এই শংসাপত্র দেওয়ার কাজ শুরু ।করেছিল সরকার। কিন্তু তাতেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জেলা স্তরে বহু মানুষকে নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে জাল জাতিগত শংসাপত্র তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। সেই ঘটনাতেই এবার সম্প্রতি ইস্যু হওয়া সব জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।
এখনও পর্যন্ত দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে অন্তত ৫০ লক্ষ মানুষকে জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে বলে কিছুদিন আগেই দাবি করেছিলেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাাণ মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক। কিন্তু তার মধ্যে বহু শংসাপত্রই ভুয়ো বলে অভিযোগ উঠেছে। সূত্রের খবর, তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি এবং অনগ্রসর শ্রেণির তালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও বহু মনুষ কাস্ট সার্টিফিকেট পেয়েছেন। সেই অভিযোগ ওঠার পর নবান্নের তরফে আগেই কাস্ট সার্টিফিকেট দেওয়ার ব্যাপারে নিয়মে বেশ কিছু কড়াকড়ি করেছিল। কিন্তু তাতেও নাকি দুর্নীতি আটকানো যাচ্ছে না।
কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া সেই সংক্রান্ত একটি মামলাতেই এবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিলেন। আদালতের নির্দেশ, এই ঘটনায় তদন্ত করবেন জেলাশাসক। মহকুমা শাসকরা যদি মিথ্যে শংসাপত্র দিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এছাড়া অনগ্রসর শ্রেণির উন্নয়ন দফতরের সচিবকে এ ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিকভাবে মহকুমা আধিকারিক স্তর থেকেই পাওয়া যেত জাতিগত শংসাপত্র। কিন্তু ভুয়ো সার্টিফিকেট বিলির একাধিক অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর রাজ্যের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, শুধুমাত্র জেলাস্তর থেকেই তা পাওয়া যাবে। এছাড়া যাঁরা ভুয়ো সার্টিফিকেট পেয়েছেন তাঁদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে শংসাপত্র বাতিল করারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
Advertisement
Advertisement