Advertisement
Advertisement
শেষ আপডেট: 30 October 2023 15:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কেরলের কালাসামেরির কনভেনশন সেন্টারে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটানোর পর থানায় আত্মসমর্পণ করে বিস্ফোরণের দায় নিয়েছেন ডমিনিক মার্টিন নামে এক ব্যক্তি। ডমিনিক দাবি করেছেন, প্রার্থনাসভায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণ তিনিই ঘটিয়েছেন। পরপর তিনবার বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৮ জনের। পঞ্চাশের বেশি আহত। বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্ত করছে এনসিজি ও এনআইএ। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ডমিনিক এতদিন দুবাইতে থাকছিলেন। মাস দুয়েক আগে দেশে ফিরেছেন তিনি।
১৫ বছর দুবাইতে কাটিয়ে ডমিনিক। জেরায় ৪৮ বছরের ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, কর্মসূত্রেই দুবাইতে গিয়েছিলেন। সেখানে ইলেকট্রিকের কাজ শেখেন তিনি। তাঁর দুই সন্তানও দুবাইতেই থাকেন। দেশে ফিরে টিউশন পড়ানোর কাজ করছিলেন। কোচিতে বিস্ফোরণের পরই কোদাকারা থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন ডমিনিক। তিনি দাবি করেছেন দুবাই থেকে মাস দুয়েক আগে ফিরেছিলেন এই ঘটনা ঘটানোর জন্যই।
কিন্তু কেন এমন করলেন ডমিনিক? তদন্তকারীদের অফিসারদের তিনি জানিয়েছেন, গত ১৬ বছর ধরে জিহোবা’স উইটনেস নামে একটি ধর্মীয় সংগঠনের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন। কালাসামেরির কনভেনশন সেন্টারে ওই ধর্মীয় গোষ্ঠীরই অনুষ্ঠান ছিল গতকাল। সেখানেই তিনি বিস্ফোরণ ঘটান।
ডমিনিকের বক্তব্য, এই জিহোবারা খ্রিষ্টীয় মূলভাবধারার বিরোধী। তারা যা কাজ করে বা বলে, তা দেশবিরোধী। এমনিতেও খ্রিস্টান সমাজ জিহোবাদের ভাল চোখে দেখে না। তাদের ধর্মীয় মতবাদের তীব্র বিরোধিতা করে। ডমিনিকের দাবি, এই জিহোবারা তরুণ মনে বিরূপ ভাবনা গেঁথে দিচ্ছে। মগজধোলাই করছে। দেশবিরোধী কার্যকলাপ করতে বাধ্য করছেন। তাই তিনি এই সংগঠন থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন। জিহোবাদের ভাবনার বিরোধিতা করেছিলেন। তাই সেখানে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চলে আসেন।
জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা বলছেন, একা একজনের পক্ষে গোটা এলাকা দেখেশুনে বিস্ফোরক লাগানো, রিমোর্ট কন্ট্রোলের সাহায্যে তা অপারেট করা সম্ভব নয়। ডমিনিকের সঙ্গে আরও অনেকের যোগ আছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দা অফিসাররা। ডমিনিক ইলেকট্রিকের কাজ জানত ঠিকই, কিন্তু এত শক্তিশালী বিস্ফোরক তৈরি করার জ্ঞান তাঁর ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডমিনিকের সঙ্গে কোনও আন্তর্জাতিক সংগঠন জড়িত কিনা তা ভাবাচ্ছে পুলিশকে।
Advertisement
Advertisement