শেষ আপডেট: 18th July 2024 12:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: ছেলেকে হারিয়ে আঁকড়ে ধরেছিলেন ছোটতেই মা মরা নাতনিকে। সম্প্রতি শ্বশুরবাড়িতে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় তার। তারপর থেকেই অবসাদে ভুগতে শুরু করেন ৭৮ বছরের ওই বৃদ্ধা। বুধবার ত্রিবেণীর ঘাটে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন তিনি। মাঝিরা উদ্ধার করেন তাঁকে।
বলাগড়ের সোমড়া বাজারে বাড়ি ওই বৃদ্ধার। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃদ্ধার বড় ছেলে শৈলেন ঘোষ বছর দুয়েক আগে মারা গেছেন। সন্তানরা ছোট থাকার সময়েই স্ত্রী বিয়োগ হয়েছিল শৈলেনবাবুর। তাঁর মেয়ে ডালিয়াকে কোলেপিঠে করে বড় করেছেন বৃদ্ধা। শেষবয়সে এই নাতনিকেই আঁকড়ে ধরেছিলেন তিনি। কিন্তু মাস দুয়েক আগে,পোলবার আমনান গ্রামে নিজের শ্বশুরবাড়িতে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় ডালিয়ার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃদ্ধার একমাত্র অবলম্বন ছিল নাতনি ডালিয়া। সেই নাতনি চলে যাওয়ায় বৃদ্ধা অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তবুও নিজের কাজ নিজেই করতেন। বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হন। একটি টোটোয় করে রওনা হন। পরে বাপের বাড়ি বেহুলা চলে যান। সেখান থেকে সেই টোটোতে ত্রিবেণী ঘাটে স্নান করবেন বলে যান। ঘাটে নেমে টোটো চালককে ফিরে যেতে বলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘাটে বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকার পর গঙ্গায় ঝাঁপ দেন বৃ্দ্ধা। কর্তব্যরত সিভিক ভলেন্টিয়াররা দেখতে পেয়ে চিৎকার করে ওঠেন। ঘাটে থাকা নৌকার মাঝিরা সঙ্গে সঙ্গে নদীতে ঝাঁপ দেন। ভেসে যেতে থাকা বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেন তাঁরা। খবর পেয়ে বলাগড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
বলাগড় থানার ওসি রাজকিরণ মুখোপাধ্যায় বৃদ্ধার বাড়িতে খবর দেন। তাঁর এক নাতি ত্রিবেণী ঘাটে এসে ঠাকুমাকে বুঝিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়।