শেষ আপডেট: 8th July 2024 08:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হাথরসে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১২১ জন। যাকে ঘিরে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল ঘটনার পর থেকেই সেই সুরজপাল ওরফে নারায়ণ সাকার হরি ওরফে ভোলে বাবা 'বেপাত্তা'। ইতিমধ্যে স্বঘোষিত ওই ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। যদিও উত্তরপ্রদেশে নয়, মামলাটি হয়েছে বিহারের এক আদলতে। এবার হাথরাসের ঘটনায় নয়া তত্ত্বের দাবি করেছেন ভোলে বাবার আইনজীবী এপি সিং।
হাথরাস কাণ্ডে যড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছেন খোদ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। চলছে তদন্ত। বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ভোলে বাবার আইনজীবী দাবি করেছেন, তাঁর মক্কেলের অনুষ্ঠানকে বদনাম করতে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে! ১০-১২ জন দুষ্কৃতী ভিড়ের মধ্যে বিষাক্ত স্প্রে ছড়িয়ে দিয়েছিল। আর সেই কারণেই ঘটে বিপর্যয়। বিষাক্ত স্প্রের জন্য নি:শ্বাস নিতে না পেরেই মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের।
আইনজীবী এপি সিংয়ের কথায়, বিষাক্ত স্প্রে করার পরই ‘অভিযুক্ত’রা গাড়িতে করে পালিয়ে যায়। আর সেই জন্যই ওই এলাকার ঘটনার আগে ও পরের সিসিটিভি ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করতে হবে। ঘটনাটিতে সিটের তদন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
হাথরসে তাঁর সৎসঙ্গের অনুষ্ঠানে ভক্তদের পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার পর থেকেই উধাও স্বঘোষিত ধর্মগুরু ভোলে বাবা। এদিকে, ‘ফেরার’ হলেও আড়ালে থেকেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তিনি। একটি সাক্ষাৎকারে ভোলে বাবা বলেছেন, “ওই ঘটনার জন্য যারা দায়ী, তারা কেউ ছাড় পাবে না।’’ তাঁর আরও দাবি, যাঁরা অনুষ্ঠানে ছিলেন, তাঁদের কাছ থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে ঘটনার দিন অনুষ্ঠানস্থলে বেশ কিছু গাড়ি ঢুকেছিল। ১০-১২ জন ভিড়ের মধ্যে বিষ ছড়িয়ে দেয়। কয়েক জন মহিলা অসুস্থ হয়ে সেখানেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।” নিহত ও আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।
ইতিমধ্যে সৎসঙ্গের মুল অভিযুক্ত দেবপ্রকাশ মধুকরকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মধুকরকে গ্রেফতারের পর এই মামলায় গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭।উত্তর প্রদেশ পুলিশ মধুকরের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিল এবং তাঁকে এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছিল।