শেষ আপডেট: 18th July 2024 18:54
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সৎসঙ্গ অনু্ষ্ঠানে ৮০ হাজারের জায়গায় প্রায় ২ লক্ষ মানুষের ভিড়। পরিণতি ভয়ানক। ১২১ জন পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের হাথরাসের এই ঘটনায় মর্মাহত হয়েছে গোটা দেশ। তবে যার ডাকে সেখানে মানুষ এসেছিলেন সেই স্বঘোষিত ধর্মগুরু ভোলে বাবা দুর্ঘটনার দায় সম্পূর্ণ ঝেড়েই ফেলেছেন। তাঁর সাফ কথা, মরতে তো একদিন সকলকেই হবে।
এই দুর্ঘটনায় একাধিকজন গ্রেফতার হলেও ভোলে বাবা গ্রেফতার হননি। তাঁর বিরুদ্ধে ঘটনার পর থেকে কোনও এফআইআর-ও দায়ের হয়নি। সবশেষে পাটনা আদালতে একটি মামলা হয়। কিন্তু তাঁকে গ্রেফতার করা তো দূর, জিজ্ঞাসাবাদ পর্যন্ত করেনি পুলিশ। মাঝে ভিডিও বার্তা দিয়ে ভোলে বাবা দাবি করেছিলেন, সমাজবিরোধীরা এই কাজ করেছে তাঁকে বদনাম করার জন্য। এবার তিনি মানুষের ভাগ্যকেই মৃত্যুর প্রধান কারণ হিসেবে তুলে ধরলেন।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে ভোলে বাবা যার আসল নাম সূরজ পাল, তিনি বলছেন, ''যা হওয়ার তা হবেই, কেউ আটকাতে পারবে না। একদিন না একদিন সকলকেই মরতে হবে। কেউ আগে যাবে, কেউ পরে। কিন্তু মৃত্যুকে কেউ ঠেকাতে পারবে না।''
এই মন্তব্য করার পাশাপাশি তিনি দুর্ঘটনার জন্য শোকপ্রকাশও করেছেন। যদিও মৃতদের পরিবারকে তিনি কোনও সাহায্য করবেন কিনা এ ব্যাপারে কিছু জানাননি। ভোলে বাবার আইনজীবী ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন, সৎসঙ্গ অনুষ্ঠানে বিষাক্ত স্প্রে ছড়ানো হয়েছিল। তার জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
উত্তরপ্রদেশ সরকার ইতিমধ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক কমিটি গঠন করে দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিজে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, দোষীদের রেয়াত করা হবে না। এরপরই ঘটনায় জড়িত হিসেবে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে রয়েছে ভোলে বাবার সহযোগী হিসেবে পরিচিত দেবপ্রকাশ মধুকর।
তাঁকে জেরা করেই বিস্ফোরক তথ্য হাতে পেয়ে পুলিশ। জানা গেছে, ভোলে বাবার সঙ্গে একাধিক রাজনৈতিক দলের যোগ ছিল। এমনকী তাদের থেকে টাকাও পেত তাঁর সংস্থা! তাই এখন এই ধর্মগুরুর সংগঠনের আর্থিক লেনদেনের ওপর নজরদারি চলছে।