শেষ আপডেট: 8th January 2024 15:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জীবনের পরতে পরতে ছড়িয়ে থাকে কত না মণিমুক্তো! চলতে চলতে তা খুঁজে নেওয়ার পালা। স্মৃতি হাতড়ে তেমনই অভিজ্ঞতা শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ধনধান্য অডিটোরিয়ামে এক সরকারি অনু্ষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নানারকম সরকারি প্রকল্পের ঘোষণার মাঝেই শোনালেন নিজের জীবনের নানা গল্প।
গান গাইতে ভালবাসেন মুখ্যমন্ত্রী। ছোটবেলায় শেখা গানের চর্চা তিনি যে এখনও সময় পেলেই চালিয়ে যান এ খবর সবারই জানা। রাজ্যের বর্ষীয়ান শিল্পীদের অনেকেই তাঁকে স্নেহ করেন। তাঁর জীবনের এই সমৃদ্ধির দিকটাই এদিন তুলে ধরলেন তিনি। বললেন, “বাম আমলে চেতলা পার্কে শোকসভা হচ্ছে। নির্মলাদিকে একটা গান গাইতে বলা হল। শোকের গান। নির্মলাদি আমাকে খোঁচাচ্ছেন বল না রে কোনটা গাইব। অনেক সময় হয় না আচমকা গান গাইতে বললে কোনটা বাছাই করব সমস্যা হয়ে যায়! আমি তখন বললাম ‘ভরা থাক’ টা গাইতে পার। ভরা থাক স্মৃতিসুধায় বিদায়ের পাত্রখানি, বা ‘দাঁড়িয়ে আছো তুমি আমার গানের ও পারে’ গাইতে পারো। ‘আছে দুঃখ আছে মৃত্যু’ গাইতে পারো। উনি বললেন, ‘ভরা থাক স্মৃতিসুধায় বিদায়ের পাত্রখানি’ আমি জানি না। আচ্ছা তুই এক কাজ কর। আমাকে পিছন থেকে ‘দাঁড়িয়ে আছো তুমি আমার গানের ও পারে’ গানটার কথা সাপ্লাই কর, আমি গাইছি। আমিও পিছনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা সাপ্লাই করলাম। উনিও গাইলেন। সে সব দিন কি ভোলা যায়!”
এখানেই শেষ নয়। গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের অনুরোধ ফেলতে না পেরে গাইতে হয়েছিল “প্রভু আলোর দৃষ্টি দাও, আমি অন্ধকারের যাত্রী।” দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের অনুরোধে কী ভাবে যোগমায়াদেবী কলেজের অনুষ্ঠানে গাইতে হয়েছিল “জীবন যখন শুকায়ে যায় করুণাধারায় এসো! সেই গল্পও শোনালেন।