বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার পঞ্চায়েত অফিসে গুলিকাণ্ডের মুখ অভিযুক্ত
শেষ আপডেট: 8th May 2024 15:57
দ্য় ওয়াল ব্যুরো: বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করা হল হাওড়ার বাঁকড়া পঞ্চায়েত অফিসে গুলিকাণ্ডে মূল অভিযুক্তকে। পুলিশ জানিয়েছে, বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোগী সেজে লুকিয়ে ছিল সাজিদ শেখ। সেখানে হানা দিয়েই পুলিশ গ্রেফতার করে তাকে।
বিশেষসূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে ওই বেসরকারি হাসপাতালে হানা দেয় হাওড়া কমিশনারেটের পুলিশ। সাজিদকে জেরা করেই আজ বুধবার উত্তরপ্রদেশ থেকে গুলিকাণ্ডে আরেক অভিযুক্ত সঞ্জয় সিংকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতে তুলে রিমান্ডে নিয়ে দুজনকেই হাওড়ায় নিয়ে আসা হয়।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বাঁকড়া-৩ পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যে ঢুকে পড়েছিল তিনজন দুষ্কৃতী। ঢুকেই গুলি চালাতে শুরু করে তারা। ঝনঝন করে ভেঙে পড়ে দরজা জানলার কাচ। সরাসরি গুলি না লাগলেও পঞ্চায়েত প্রধান টুকটুকি শেখের বাবা-সহ মোট দু’জন জখম হন। অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান টুকটুকিকে লক্ষ্য করেও গুলি চালানো হয়। তিনি কোনওমতে টেবিলের তলায় বসে পড়ে প্রাণ বাঁচান।
মঙ্গলবার রাতে হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা বেঙ্গালুরু থেকে কুড়ি কিলোমিটার দূরে একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তাকে গ্রেফতার করে। এদিনই ধৃতকে প্লেনে করে কলকাতায় আনা হয়। তারপরেই হাওড়া জেলা আদালতে তোলা হয় তাকে। হাওড়া সিটি পুলিশের জয়েন্ট সিপি শবরী রাজকুমার জানিয়েছেন,ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ছিল সাজিদ। তাকে গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি অপারেশনের সময় ব্যবহৃত বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র এবং গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। একইসঙ্গে আরও দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়। সঞ্জয় সিংকে বালিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে হাওড়ায় নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়াও যশোবন্ত সিং নামে আরও একজন দুষ্কৃতীকে ধরা হয়েছে বিহারে। বর্তমানে বিহারের জেলে রয়েছে ওই দুষ্কৃতী। এই দুজনকে ভাড়া করেছিল সাজিদ।
এদিন হাওড়া আদালতে পেশ করার সময় শেখ সাজিদ নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, "চিকিৎসার জন্য বাইরে ছিলাম। রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হলাম।" সাজিদের বোন একই দাবি করে বলেন, "বর্তমান প্রধান ও আরও অনেকে মিলে আমার ভাইকে ফাঁসিয়েছে।"
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে পঞ্চায়েতে ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিভিন্ন দুর্নীতি করতে চাইছিল সাজিদ। তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ আছে। বিধায়ক কল্যাণ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ তোলেন অনেকেই।যদিও তা অস্বীকার করেছিলেন বিধায়ক। কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথাও তিনি শিকার করেননি।