শেষ আপডেট: 23rd August 2024 15:28
দ্য় ওয়াল ব্যুরো, উত্তর ২৪ পরগনা: এক যুবকের মৃত্যুকে ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় এমার্জেন্সি রুম। চিকিৎসক ও নার্স- সহ ১০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো ব়্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স।
বাদুড়িয়ার নারকেলবেরিয়া গ্রামের বাসিন্দা বছর ৩৫ এর সামাদ মণ্ডলের হার্টের সমস্যা ছিল। অসুস্থ হয়ে পড়ায় বৃহস্পতিবার তাঁকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযোগ, পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক না থাকায় তাঁর ঠিক মতো চিকিৎসা হয়নি। রোগীর পরিবারের লোকজন জানান, শুক্রবার সকালবেলা হাসপাতাল থেকে তাঁদের বাড়িতে ফোন যায়। জানানো হয় রোগীর অবস্থা খারাপ। দুপুর বারোটা নাগাদ মৃত্যু হয় সামাদের।
এই খবর গ্রামে পৌঁছতেই মানুষজন হাসপাতালে চলে আসেন। অভিযোগ, রোগীর দেহ বাইরে বের করে নিয়ে গিয়েই মেল ওয়ার্ডে ভাঙচুর শুরু করেন। কর্তব্যরত নার্স ও চিকিৎসকদেরও বেধড়ক মারধর করা হয়। তুমুল গন্ডগোলের মধ্যেই এমার্জেন্সি রুমেও ভাঙচুর শুরু করে অন্য রোগীদের আত্মীয়রা।
সামাদের পরিবারের লোকজন জানান, ভর্তির পর ঠিকমতো চিকিৎসা হয়নি। ওষুধ দেওয়া হয়নি। যার জন্য মৃত্যু হয়েছে তাঁদের পরিবারের সদস্যর। তাঁরা বলেন, "বৃহস্পতিবার থেকেই বারবার হাসপাতালে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম যে সামাদের চিকিৎসা ঠিকমতো হচ্ছে না। কিন্তু কেউ কানে তুলল না। আমাদের ছেলের মৃত্যুরও বিচার চাই।"
পরিবার ও গ্রামবাসীদের তুমুল বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছলে পুলিশকে ঘিরে ধরেও চলে বিক্ষোভ। পরে বসিরহাট পুলিশ জেলার বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। নামানো হয় ব়্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স। দীর্ঘক্ষণ পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।