শেষ আপডেট: 13th June 2024 18:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ঘরছাড়াদের নিয়ে রাজভবনে ঢুকতে পারলেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিলেন বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দু, বললেন, "৭৭ সালে এমার্জেন্সির সময়ও এই জিনিস হয়নি। রাজ্যপালের অনুমতি সাপেক্ষে ঘরছাড়াদের নিয়ে রাজভবনে এসেছিলাম। অথচ দুপুর ৩টে থেকে রাজভবনের তিনদিকের রাস্তা আটকে রেখেছে। ৭৭ সালে এমার্জেন্সির সময়ও এই জিনিস হয়নি। আমি বিরোধী দলনেতা। আমাকে এক ঘণ্টা আটকে রাখা হল।"
সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, "আমি ওনার মতো ভাঙচুরের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। তা না হলে আমরাও জোর করে ঢোকার চেষ্টা করতে পারতাম। কিন্তু সেটা করিনি। আইনি পথেই ব্যবস্থা নেব। আদালতে যাব। আজ পুলিশ আমাকে রাজভবনে ঢুকতে দিল না, এমন ব্যবস্থা করব, ওরাই স্যালুট করে রাজভবনে নিয়ে যাবে।"
শুভেন্দুর অভিযোগ, ভোট মিটলেও রাজ্যের জেলায় জেলায় সন্ত্রাসের ঘটনা বন্ধ হয়নি। বরং একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে। সাত হাজার জনের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রেশন বন্ধ করেছে ১২ হাজার জনের।
শুভেন্দুর কথায়, "আমরাও ২ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষের ভোট পেয়েছি। এভাবে পুলিশ দিয়ে আমাদের আটকানো যাবে না। এই লড়াই আরও তীব্রতর করা হবে।"
রাজভবনে ঢুকতে না দেওয়া নিয়ে পুলিশের অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগের মধ্যেই এদিন ঘরছাড়া কর্মীদের নিয়ে রাজভবনে পৌঁছেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও শুভেন্দুর এই অভিযানকে নাটক আখ্যা দিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য, "বাংলায় ভরাডুবির পর নজর ঘোরাতেই কিছু লোককে খাইয়ে দাইয়ে রেখে ঘরছাড়ার নাটক করছে বিজেপি।"
একই সঙ্গে কুণালের কটাক্ষ, "বাংলায় বিজেপির প্রকৃত ঘরছাড়া তো দিলীপ ঘোষ। তাঁকে নিয়ে গেলেন না কেন! আর কার কাছে যাচ্ছে? রাজ্যপাল! যার বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ উঠেছিল, সেটা তো বাংলার মানুষ ভুলে যায়নি।"